অক্টোবর ২৪, ২০২৪

বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর, ২০২৪

কোরবানির পশুর কৃত্রিম সংকট ও ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে সরকারের ১০ সিদ্ধান্ত

Cow
ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন কোরবানি ঈদের পশুর কৃত্রিম সংকট ঠেকাতে নজরদারির পাশাপাশি কেনাবেচায় ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা এবং পশুবাহী যান চলাচল নির্বিঘ্ন করারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

আজ বুধবার (১২ জুন) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এসব সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।

এর আগে, মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ‘ঈদুল আজহার প্রস্তুতিমূলক সভায়’ পশু ক্রয়-বিক্রয়ে অনলাইন মার্কেটে মনিটরিং জোরদার করাসহ কোরবানির পশুর সহজলভ্যতা, পরিবহন, হাট ও অনলাইন মার্কেট ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং কোরবানির পশুর চামড়া ব্যবস্থাপনা বিষয়ে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ বছর কোরবানিযোগ্য পশুর যথেষ্ট জোগান রয়েছে। সংকট সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা নেই। বাজার ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে পরিচালিত হলে যৌক্তিক মূল্যে কোরবানির পশুর ক্রয়-বিক্রয় হবে বলে প্রত্যাশা করা যায়। কৃত্রিম সংকট যেন তৈরি না হতে পারে সে লক্ষ্যে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

সভায় নেয়া সিদ্ধান্তসমূহ হল:

১. কোরবানির পশুর সহজলভ্যতা এবং ক্রয়-বিক্রয়ে যৌক্তিক মূল্য নিশ্চিত করতে সতর্ক নজরদারি অব্যাহত রাখতে হবে। অনলাইন মার্কেটের মনিটরিং জোরদার করতে হবে।

২. কোরবানির পশুবাহী যানবাহনের চলাচল সুশৃঙ্খল ও নির্বিঘ্ন রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ লক্ষ্যে মাঠ প্রশাসনসহ আন্তঃদফতর সমন্বয় জোরদার করতে হবে।

৩. নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির পশুর হাট স্থাপন এবং যত্রতত্র হাট গড়ে ওঠার প্রবণতা রোধকল্পে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহ পুলিশ বিভাগের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয় সাধন করবে।

৪. কোরবানির পশুর হাট ব্যবস্থাপনা যথাযথভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সব দফতর পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করবে।

৫. কোরবানির পশুর হাটসহ পশু পরিবহন, ক্রেতা-বিক্রেতার নিরাপত্তা এবং যেকোনো ধরনের প্রতারণারোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সম্ভাব্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

৬. সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদকে নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানির বিষয়ে যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তা সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

৭. ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনকে প্রত্যক্ষ ও সরেজমিন তত্ত্বাবধানে স্বল্পতম সময়ে শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করতে হবে এবং পূর্ব থেকেই পরিকল্পনামাফিক পর্যাপ্ত পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং বর্জ্য পরিবহনকারী গাড়িসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৮. স্থানীয় প্রশাসন ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সভা করে চামড়ার মূল্য নির্ধারণসহ চামড়া সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার বিষয় সার্বিকভাবে বিবেচনা করে স্থানীয় বাস্তবতার নিরিখে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

৯. চামড়া সংরক্ষণে স্থানীয় প্রশাসন সংশ্লিষ্টদের নিয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

১০. সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দফতর চামড়া সংরক্ষণের বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা চালাবে।