
কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়া ভারতে পাচার রোধে কুমিল্লা সীমান্তজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। একই সঙ্গে, চামড়া সংরক্ষণে স্থানীয় পর্যায়ে ব্যবহারের জন্য সরকার কর্তৃক ৩৮ লাখ ২৮ হাজার টাকা মূল্যের ২৪০ মেট্রিক টন লবণ বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে।
শুক্রবার (৬ জুন) সকালে কুমিল্লার বিবিরবাজার বিজিবি ক্যাম্পে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে কুমিল্লা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল রেজাউল কবির জানান, চামড়া চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি সর্বাত্মকভাবে প্রস্তুত রয়েছে। কোরবানির পশুর চামড়া যাতে কোনোভাবেই দেশের বাইরে পাচার না হয়, সে লক্ষ্যে সীমান্তজুড়ে টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
কর্নেল রেজাউল কবির বলেন, “এ বছর আমরা গরু চোরাচালান সম্পূর্ণভাবে প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছি। ঠিক একইভাবে, চামড়া পাচারও সফলভাবে রোধ করা হবে। বিজিবি অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে আরও বেশি সক্রিয় থাকবে।”
জানা গেছে, কুমিল্লা সেক্টরের আওতায় হবিগঞ্জ থেকে ফেনী পর্যন্ত প্রায় ৩২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। এই সীমান্ত এলাকাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ২৫, ৬০, ১০ এবং ৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নকে সতর্ক অবস্থানে রাখা হয়েছে।
এদিকে, চামড়া পাচার ঠেকাতে সরকার ঈদের দিন থেকে দশ দিনের জন্য ঢাকায় কাঁচা চামড়া প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, স্থানীয়ভাবে চামড়া সংরক্ষণে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন ২৪০ মেট্রিক টন লবণ বিনামূল্যে বিতরণ করছে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার জানান, চামড়া ক্রয়ে আগ্রহী যেসব প্রতিষ্ঠান মাঠপর্যায়ে কাজ করছে, তারাই এই লবণ পাবে। তবে জেলার মাদরাসা ও এতিমখানাগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। সরকার লবণ ক্রয়ের জন্য ৩৮ লাখ ২৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। প্রতি মণ লবণ ১৩ হাজার টাকায় কেনা হলেও ভ্যাট ও ট্যাক্সসহ এর খরচ দাঁড়াবে প্রায় ১৪ হাজার ৯৫০ টাকা। জেলার ১৫টি উপজেলা এবং কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে এই লবণ বিতরণ করা হবে। এই উদ্যোগ স্থানীয়ভাবে চামড়া সংরক্ষণ ও পাচার রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।