কোমল পানীয়র (বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রি) শিল্পে ন্যূনতম কর ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
বুধবার (৩০ আগস্ট) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম সই করা এক আদেশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এরআগে কোমল পানীয়র ওপর ন্যূনতম কর সর্বোচ্চ ১ শতাংশ করার দাবি জানায় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ট্রান্সকম বেভারেজেস, প্রাণ, আব্দুল মোনেম এবং কোকা-কোলা বাংলাদেশ। ওই দাবিকে বিবেচনায় নিয়ে এনবিআর এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।
চিঠিতে প্রতিষ্ঠানগুলো জানায়, নতুন আয়কর আইন, ২০২৩ অনুযায়ী কার্বোনেটেড বেভারেজের গ্রস প্রাপ্তির ওপর ৫ শতাংশ ন্যূনতম করহার আরোপ করা হয়েছে। তবে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ অনুযায়ী কার্বোনেটেড বেভারেজের কাঁচামালের ওপর উৎসে আয়কর কেটে নেওয়া হতো। এই করকে অগ্রিম আয়কর হিসেবে বলা হতো। আয়কর অধ্যাদেশ অনুযায়ী গ্রস প্রাপ্তির ওপর করের হার ছিল দশমিক ৬ শতাংশ। কিন্তু উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের দাবি, পূর্বের করহারের সঙ্গে তুলনা করলে নতুন করহার অতিমাত্রায় বেড়েছে।
করহার পরিবর্তনের ফলে এই সেক্টরে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন উৎপাদনকারীরা। কোম্পানির অর্থপ্রবাহ কমে যাবে, এসব প্রতিষ্ঠানে নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরির সুযোগ কমে যাবে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে বড় ধরনের বিনিয়োগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলেও মনে করছে এসব উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান।
এদিকে আসন্ন তিন থেকে চার বছরে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ ও স্থানীয় বিনিয়োগ মিলে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। তাছাড়া এই সেক্টরের বিভিন্ন পর্যায়ে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ লোকের কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছে।