আপনি কি ছুটির দিনে ঘুমিয়ে কাটান? হয়তো বা অনেকেই বলবেন, “অবশ্যই!” কিন্তু জানেন কি, এই ঘুম শুধু আপনাকে আরাম দিচ্ছে তাই নয়, আপনার হৃদয়কেও ভালো রাখছে!
সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, ছুটির দিনে অতিরিক্ত দুই-তিন ঘণ্টা ঘুমানো হৃদরোগের ঝুঁকি ১৯ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারে। শুধু তাই নয়, ঘুমের ঘাটতি পূরণের চেষ্টা না করা এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কমায়। সেই অতিরিক্ত ঘুম আবার দিনে ৯–১০ ঘণ্টার বেশি নয়।
যারা সপ্তাহের অন্য দিনগুলোতে গড়ে ছয় ঘণ্টা বা তার চেয়ে কম ঘুমান, তারাই এই সুফল অধিক ভোগ করবেন। নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই এই স্বাস্থ্যগত সুফল সমানভাবে কার্যকর। কী সেসব? চট করে জেনে নিন।
হৃৎপিণ্ড থাকবে সুস্থ: সপ্তাহান্তে বা ছুটির দিনে ঘুমের এমন অভ্যাস মানুষের হৃৎস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, এমনই তথ্য উঠে এসেছে সাম্প্রতিক এক গবেষণায়। নতুন গবেষণা বলছে, ছুটির দিনে ঘুম মানুষের হৃৎস্বাস্থ্য ভালো রাখে। পাশাপাশি হৃদ্রোগের ঝুঁকি ১৯ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনতে পারে। তবে হৃৎস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিন নিয়ম করে (একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া ও একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠা) অন্তত সাত ঘণ্টা গভীর ঘুম সবচেয়ে ভালো।
ওজন কমবে, স্বাস্থ্য বাড়বে: ছুটির দিনে ঘুমের ঘাটতি পূরণের চেষ্টা না করা এবং ইচ্ছামতো জাংক ফুড, ভাজাপোড়া, কোমল পানীয় খাওয়ার ফলে মানুষের ওজন বাড়ে ও ইনসুলিন সংবেদনশীলতা কমে যায়। তাই ঘুমের ঘাটতি পূরণ করতে ছুটির দিনের অতিরিক্ত দুই–তিন ঘণ্টা ঘুম তো সহায়ক বটেই, এতে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কমায়।
মস্তিষ্ক থাকবে সতেজ: সপ্তাহের ছুটির দুই দিন যদি আপনি দুই–তিন ঘণ্টা বেশি ঘুমান আর অন্যান্য দিন ছয় ঘণ্টা ঘুমান, তাহলে গড়ে আপনি ঘুমান সাত ঘণ্টা। ছুটির দিনের এই বাড়তি ঘুম আপনার প্রয়োজনীয় স্মৃতি সাজিয়ে–গুছিয়ে রাখতে সাহায্য করে। সারা সপ্তাহের চাপ সামলে নতুন করে একটা কর্মব্যস্ত সপ্তাহের জন্য নিজেকে তৈরি হতে সাহায্য করে। ফলে সপ্তাহের নতুন পরিকল্পনা, ব্যবস্থাপনা, দায়িত্ব মাথার ভেতরে ভালোভাবে সাজিয়ে, সে অনুযায়ী কাজ করা সহজ হয়।
মানসিক চাপ কমবে: ছুটির দিনের বাড়তি ঘুম আপনার শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি দূর করে। আপনাকে মানসিকভাবে সারিয়ে তোলে। চাপমুক্ত করে। ফলে ব্যক্তিগত ও পেশাজীবনে আবেগীয় ভারসাম্য বজায় রাখা সহজ হয়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে: ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও রোগ প্রতিরোধ–ব্যবস্থাকে কার্যকর করতে সাহায্য করে ছুটির দিনের অতিরিক্ত দুই–তিন ঘণ্টা ঘুম।
সূত্র: ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন