কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় এ বছর মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়ায় কৃষকের ক্ষেত ও আঙিনায় পাকা মরিচে ভরে উঠেছে
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে কৃষকেরা মরিচ তোলায় ব্যস্ত। ক্ষেত থেকে তোলা মরিচ শুকানোর জন্য বাড়ির উঠান ও আঙিনায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
চাষিরা বলেন, এখন প্রতি কেজি শুকনো মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়।
কৃষকেরা জানান, কার্তিক মাসে মরিচের জমি তৈরি করেন তারা। অগ্রহায়ণ মাসে লাগান বীজ। চলতি চৈত্র মাসে শুরু হয়েছে মরিচ তোলা। এ সময় কাঁচা মরিচ বিক্রির পর পাকা মরিচগুলো শুকানো হয়। শুকনো মরিচ সংরক্ষণ করে বছরের যেকোনো সময় বিক্রি করা যায়। ক্ষেত থেকে মরিচ তোলায় ব্যস্ত চাষিরা। মরিচ তুলে কেউ বড় ঝুড়িতে রাখছেন, কেউ বস্তায় ভরছেন। কৃষকের ক্ষেত, বাড়ির উঠান আর আঙিনা এখন পাকা মরিচে উপচে পড়ছে। চলছে মরিচ শুকানোর ধুম।
কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার ক্ষেত থেকে উঠানো পর্যন্ত এক বিঘা জমিতে মরিচ চাষে খরচ হয়েছে গড়ে ১০-১৫ হাজার টাকা এবং বিক্রি করা যায় ১৮-২০ হাজার টাকা।
মরিচ চাষি আমিনুল ইসলাম বলেন, “অনেক আশা করে এইবার মরিচের আবাদ করেছিলাম। ভালো দামও পাচ্চি শুকনা মরিচ ৪ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি করেছি। এক একর জমিতে মরিচ চাষে খরচ হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে এক একর জমিতে মরিচ উৎপাদিত হয়েছে ৩০০ কেজি, যা বিক্রি করে ৭২ হাজার টাকা পাওয়া গেছে। বাকি মরিচ বিক্রি করলে অধিক লাভের মুখ দেখার সম্ভাবনা রয়েছে।”
এ বিষয়ে উপজেলা সদর বাজারের পাইকারি মরিচ ব্যবসায়ী নজরুল বলেন, “উপজেলায় এবার মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। বর্তমান মূল্যেও লোকসানের মুখে পড়বেন না চাষিরা।”
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সালাহ উদ্দিন বলেন, “এ বছর উপজেলায় মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতি একর জমিতে প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ কেজি পর্যন্ত মরিচ উৎপাদিত হয়েছে।”
মরিচের বাম্পার ফলনে খুশি কৃষকরা। তারা আশা করছেন, এ বছর মরিচ বিক্রি করে ভালো লাভবান হবেন।