
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আনোয়ার হোসেন হত্যা মামলায় আদালত দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছেন। এছাড়া প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক সাবরিনা নার্গিস এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, জিয়া উল্লাহ (২৮), আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে, দেড়কোটা গ্রাম ও জুয়েল রানা (২৯), ইয়াকুব মিয়ার ছেলে, দেড়কোটা গ্রাম।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন,ক্বারী ফজলুল হক (২৩) দেড়কোটা গ্রাম, আজাদ রহমান (২৫) দেড়কোটা গ্রাম, আবদুল কাদের (২৭) দেড়কোটা গ্রাম, কবির আহমেদ (৩০) দেড়কোটা গ্রাম ও সাদ্দাম হোসেন (২৩) ফেলনা গ্রাম।
রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি কবির আহমেদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর ছয় আসামি পলাতক রয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২২ এপ্রিল সন্ধ্যায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে জিয়া উল্লাহ ও তার সহযোগীরা আনোয়ার হোসেনের দোকানে হামলা চালান। এতে বাধা দেয়ায় তাঁকে কুপিয়ে আহত করা হয় এবং একপর্যায়ে শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়া হয়। স্থানীয়রা আনোয়ার হোসেনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ঘটনার পরদিন, ২৩ এপ্রিল, নিহতের বাবা দেলোয়ার হোসেন চৌদ্দগ্রাম থানায় ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জনকে অভিযুক্ত করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ২৬ আগস্ট জেলা ডিবির এসআই জিল্লুর রহমান আদালতের নির্দেশে ১৯ জনের বিরুদ্ধে পুনরায় চার্জশিট দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মুমিনুল হক ভূঁইয়া জানান, মামলার ২৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণের পর বিচারক রায় প্রদান করেছেন। চার্জশিটভুক্ত ১২ আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করছি। এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।”










