
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গত সেপ্টেম্বর মাসে মোট ১২৭ জন মায়ের নরমাল ডেলিভারি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। যা একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক।
স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরলস আন্তরিক প্রচেষ্টা, নিয়মিত ও মানসম্পন্ন সেবা প্রদান এবং জনগণের ক্রমবর্ধমান আস্থার ফলেই এই বড় অর্জন সম্ভব হয়েছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মিডওয়াইফ, সিনিয়র স্টাফ নার্স এবং চিকিৎসকবৃন্দ দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা নিরলস পরিশ্রম করে নিরাপদ মাতৃসেবা নিশ্চিত করছেন। এর ইতিবাচক ফলস্বরূপ, বর্তমানে অধিকাংশ গর্ভবতী মা নরমাল ডেলিভারির জন্য হাসপাতালেই আসছেন। এতে করে বাড়িতে অদক্ষ ধাত্রী দ্বারা ডেলিভারি করানোর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে, যা মা ও নবজাতকের জীবন রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রশিদ আহমেদ চৌধুরী এই অর্জন নিয়ে বলেন, “এই রেকর্ড সংখ্যক নরমাল ডেলিভারি আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সক্ষমতার স্বাক্ষর রাখে এবং এটি আমাদের জন্য এক বড় অর্জন। এ সাফল্য প্রমাণ করে যে, জনগণ সরকারি স্বাস্থ্যসেবার প্রতি আস্থা রাখছেন। আমরা আগামী দিনেও আরও উন্নত সেবা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
হাসপাতালে প্রসবোত্তর সময়ে মা ও নবজাতককে প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং প্রসবোত্তর সেবা প্রদান করা হচ্ছে। পাশাপাশি, সচেতনতামূলক প্রচারণার মাধ্যমে গর্ভবতী মায়েদের নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো এবং হাসপাতালে ডেলিভারির প্রতি উৎসাহিত করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক মাসে ১২৭ জন মায়ের সফল নরমাল ডেলিভারি কেবল একটি সংখ্যা নয়, এটি নিরাপদ মাতৃত্ব বাস্তবায়নের পথে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধারা অব্যাহত থাকলে প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুহার আরও কমবে এবং “নিরাপদ মাতৃত্ব” নিশ্চিতকরণে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।