জুন ১৭, ২০২৫

মঙ্গলবার ১৭ জুন, ২০২৫

কুমিল্লায় স্ত্রীর পাঠানো ডিভোর্স লেটার পেয়ে যুবকের আত্মহত্যা

Young man commits suicide after receiving divorce letter from wife in Comilla
ছবি: সংগৃহীত

স্ত্রীর পাঠানো তালাকের চিঠি হাতে পেয়ে আজিজুল হক রবিন (৩২) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। শনিবার বিকেলে নিখোঁজ হওয়ার পর রোববার সকালে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগমোহনপুর গ্রামে নিজ বাড়ির পাশের একটি গাছে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

আজিজুল হক রবিন জগমোহনপুর গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে। চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এলাকা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় আট বছর আগে পাশ্ববর্তী সদর দক্ষিণ উপজেলার তালপট্টি গ্রামের নাছিমা আক্তারকে বিয়ে করেন রবিন। তাদের জান্নাত আক্তার নামে ছয় বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই ‘পরকীয়ার’ সন্দেহে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ লেগেই ছিল। এই ঝগড়ার জের ধরে ছয় মাস আগে নাছিমা একমাত্র সন্তানকে রেখে বাবার বাড়িতে চলে যান। রবিন পারিবারিকভাবে অনেক চেষ্টা করেও নাছিমাকে ফিরিয়ে আনতে পারেননি।

দুই মাস আগে নাছিমা আক্তার স্বামী আজিজুল হক রবিনের ঠিকানায় ডিভোর্স লেটার পাঠান। পরিবারের সদস্যরা রবিনকে বিষয়টি জানায়নি। সম্প্রতি ঈদের ছুটি শেষে গার্মেন্টসে চাকরিতে যোগদানের পরিচয়পত্র খুঁজতে গিয়ে রবিন আকস্মিকভাবে সেই ডিভোর্স লেটারটি খুঁজে পান। এরপর থেকেই তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। শনিবার বিকেল থেকে রবিনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। রোববার সকালে বাড়ির পাশের গাছে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।

নিহত আজিজুল হক রবিনের ভাই আশরাফুল ইসলাম শাওন জানান, “দীর্ঘদিন ধরেই ভাই রবিন ও ভাবি নাছিমার মধ্যে ঝগড়া চলছিল। এর জের ধরেই ছয় মাস আগে নাছিমা বাবার বাড়িতে চলে যায়। দুই মাস আগে তিনি ডিভোর্স লেটার পাঠায়। বিষয়টি পরিবারের পক্ষ থেকে গোপন রাখা হয়েছিল। কিন্তু দুই দিন আগে ভাই ডিভোর্স লেটারটি দেখে মানসিকভাবে খুবই ভেঙে পড়েছিল।”

এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক তারেক উদ্দিন আকাশ বলেন, “আজিজুল হক রবিনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। লাশের ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।”

আরও পড়ুন