অনুকূল আবহাওয়া ও সার সঙ্কট না থাকার ফলে কুমিল্লায় এ বছর পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৪০০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। কৃষকরা এখন সোনালি আঁশের পরিচর্যায় ব্যস্ত।
অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর যথাসময়ে ভালো বৃষ্টিপাত হওয়া এবং ভালবীজের সহজলভ্যতার ফলে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হয়েছে। এখন পাটের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহার কমে যাওয়ায় কুমিল্লায় পাটের চাষাবাদ কমে গিয়েছিলো। তবে পাটের বাজার মূল্য সহনীয় পর্যায় হওয়ায় এ জেলায় ধীরে ধীরে পাটের চাষাবাদ বাড়তে শুরু করেছে। পাটের চাহিদা বাড়ায় কুমিল্লার কৃষকেরা বিগত মৌসুমের তুলনায় চলতি মৌসুমে অধিক পাট চাষ করেছেন। এ জেলায় এ বছর ১০ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের পাটের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দেশি, তোষা জাতের পাট। মৌসুমের এ সময়টাতে পাটের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকরা।
কৃষক মনির হোসেন জানান, প্রতি বিঘা জমিতে সোনালি আঁশ চাষে খরচ হয়েছে প্রায় আট হাজার টাকা।
পিপুইয়া গ্রামের পাটচাষী সুলতান মিয়া জানান, তিনি এ বছর ২ বিঘা জমিতে পাট রোপণ করেছিলেন। ফলন ভাল হয়েছে। রোগবালাই মুক্ত পাটের আঁশ ছাড়াচ্ছেন।
একই কথা জানালেন, বাশরা গ্রামের পাট চাষী গোলাম কিবরিয়া। তিনি পাটের নায্য মূল্য আরও বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে বলেন, এক সময়ে জেলার অনেক কৃষক পাট চাষ করত। এখনও পাট চাষে কৃষকের আগ্রহ আছে। তাই নায্য মূল্য পেলে অনেকেই পাট চাষের দিকে ঝুঁকবেন।
এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রারণ অধিদফতর কুমিল্লার উপ-পরিচালক আইউব মাহমুদ বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ মৌসুমে কুমিল্লায় পাটচাষ করায় এবার ফলন ভাল হয়েছে। কৃষি বিভাগ থেকে আমরা তাদের সব ধরণের সহযোগিতা করে যাচ্ছি।