প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও সেনাপ্রধানের ভাষণ শুনেই কুমিল্লায় সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে উল্লাসে মেতে উঠে।
গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে নগরীর প্রাণকেন্দ্র কান্দিরপাড়ে বিজয় মিছিল করে রামঘাট মহানগর পার্টি অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে নগরীর মুন্সেফবাড়ি এলাকায় সদর আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) বাহাউদ্দীন বাহারের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। হামলা হয় পুলিশ লাইনসেও।
এছাড়া স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগের অন্তত ১০০ নেতাকর্মী বিবির বাজার স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম টুটুল, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ, ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গাজী গোলাম সারোয়ার শিপন, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহ আলম খানসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাসায় হামলা হয়েছে।
এছাড়া পুরো জেলায় আওয়ামী লীগের শতাধিক নেতার বাড়ি, তিতাস ও নাঙ্গলকোট থানায় ভাঙচুর করা হয়। গত ৩ আগস্ট পুলিশ লাইনসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনার সময় একটি বাড়িতে শিক্ষার্থীরা আশ্রয় চেয়েছিলেন। গ্রিন লিফ স্কুলের সামনের সেই বাড়িটি ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এছাড়াও হামলা ও আগুন লাগানো হয় কুমিল্লা ক্লাবে।
অন্যদিকে বিবির বাজার স্থলবন্দরের দায়িত্বে থাকা পুলিশের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, ‘দুপুর থেকে এ স্থলবন্দর দিয়ে আওয়ামী লীগের কমপক্ষে ১০০ নেতাকর্মী ভারতে চলে যান।’