
নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি এবং রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে কুমিল্লায় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের ৪৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশ। শুক্রবার রাতভর জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
জেলা পুলিশের একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিদেশে পলাতক এবং বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ এমন একটি সংগঠনের কতিপয় নেতা তাদের নিজ এলাকায় অর্থ পাঠিয়ে সরকার পতনের জন্য ‘ঝটিকা মিছিল’সহ জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করছিল। এই নিষিদ্ধ সংগঠনের অর্থায়নেই শুক্রবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এক মিনিটের জন্য একটি ঝটিকা মিছিল বের করা হয়েছিল বলে পুলিশ দাবি করেছে।
গ্রেফতারকৃত কয়েকজনের জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, টাকার বিনিময়ে লোক সংগ্রহ করে এবং গাড়ি ভাড়া করে কুমিল্লার বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে মিছিলের জন্য লোক জড়ো করা হয়েছিল।
গ্রেফতারকৃত ৪৫ জন নেতাকর্মীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন মো. সোহাগ মিয়া (৪০): দাউদকান্দি উপজেলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, পাপন লাল (৫৫): মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা, মো. আব্দুর নুর তুষার (২৮): বুড়িচং উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, শের এ আলম: কুমিল্লা উত্তর জেলা শ্রমিক লীগের সদস্য, বিল্লাল হোসেন (৪৫): মুরাদনগর উপজেলার পূর্ব ধইর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, ডা. মো. শরিফ উদ্দিন: বরুড়ার ঝলম ইউপির ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি, মো. সম্রাট: মুরাদনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি, মিজানুর রহমান: লাকসামের আওয়ামী লীগ নেতা, কাজী ইয়াছিন: চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক, মশিউর রহমান ভুইয়া এবং রাব্বি মজুমদার রাফি: নাঙ্গলকোটের ছাত্রলীগ নেতা, খোরশেদ আলম, আব্দুল হালিম, অভি আহমেদ মাসুম, হুমায়ুন কবির: সদর দক্ষিণের আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতা, মো. ফারুক হোসেন: ছাত্রলীগ নেতা, মো. কামাল হোসেন: ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, মো. লিয়ন: দেবিদ্বার উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং মো. মকবুল হোসেন: মেঘনা উপজেলার বড়কান্দা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, সংক্ষিপ্ত সময়ের এই মিছিলের অধিকাংশ সদস্যই নিজেদের গোপন রাখতে রুমাল কিংবা মাস্ক দিয়ে মুখ ঢেকেছিল। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় উস্কানি কিংবা প্ররোচনা দিয়ে আত্মগোপনে থাকা কয়েকজন এই মিছিলের ইন্ধন দিয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধমূলক কার্যকলাপের মাধ্যমে জননিরাপত্তা বিঘ্ন ও এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা এই সদস্যের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”









