কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় নিখোঁজ হওয়ার তিনদিন পর খাল থেকে মোসা. শ্যামলা খাতুন (৬০) নামের এক বাক প্রতিবন্ধী বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের দুলালপুর পূর্বপাড়া গ্রামে স্থানীয় লোকজন ও স্বজনদের সহযোগিতায় ওই বাক প্রতিবন্ধী বৃদ্ধার বাড়ির পাশের খাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরে শ্যামলার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ভাই থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।
এর আগে গত রোববার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ হন শ্যামলা। নিহত শ্যামলা খাতুন দুলালপুর পূর্বপাড়া গ্রামের আব্দুল আজিজ মাস্টারের বাড়ির মৃত আব্দুল আজিজের মেয়ে।
নিহতের বোন লিলুফা বেগম ও চাচাতো ভাই সোহাগ জানান, গত রোববার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা থেকে শ্যামলাকে খোঁজে যাচ্ছিলোনা।
পরিবার পক্ষ থেকে আত্মীয় স্বজনসহ বিভিন্ন দিকে খোজাখুজি করে কোথাও তার সন্ধান পায়নি তারা। পরে এ ব্যপারে পরিবারের পক্ষ থেকে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়।
গতকাল বুধবার সকালে তাদের বাড়ির পূর্ব পাশের খালে শ্যামলা বেগমের পরনের কাপড় ভাসতে দেখে বাড়ির লোকজন।
এসময় পরিবার ও থানা পুলিশকে বিষয়টি জানানো হলে থানা পুলিশ স্থানীয় লোকজন ও স্বজনদের সহযোগিতায় নিহত শ্যামলার মরদেহ উদ্ধার করেন। পরে পুলিশ নিহতের মরদেহের শোহরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
লিলুফা বেগম ও স্থানীয়রা বলেন, আমার বোন একজন বাক প্রতিবন্ধী ও শারীরিক মানসিকভাবে অসুস্থ। বাড়ির পাশের খালে পড়ে গিয়ে সাঁতার জানা না থাকায় পানিতে ডুবে যায়। তার গায়ে একাধিক শীতের পোশাক থায় তার মৃতদের ভেসে ওঠেতে দেরি হয়েছে।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, নিহত শ্যামলা খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। নিহতের ভাই বাদী হয়ে থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ যানা যাবে।