কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায় নবম শ্রেণির ছাত্র নেছার উদ্দিনকে তুলে নিয়ে সহপাঠী মাইশা আক্তার ফারিয়ার (১৫) সঙ্গে জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ফারিয়ার বাবা মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে।
নেছার উদ্দিন (১৫) উপজেলার মক্রবপুর ইউপির মক্রবপুর গ্রামের হাজিবাড়ির প্রবাসী ওমর ফারুকের ছেলে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার নেছারের মামার দোকান থেকে ৩টি মোবাইল সেট, মোটরসাইকেল ও নগদ লক্ষাধিক টাকাসহ নেছারকে তুলে নিয়ে গিয়ে দুদিন আটক করে রাখে।
পরে শনিবার সকালে একই গ্রামের মোশাররফ হোসেন তার মেয়ে মাইশা আক্তার ফারিয়ার সঙ্গে ১০ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে জোরপূর্বক বিয়ে দেয়।
কিশোর-কিশোরীর এমন বিয়ের খবরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার্থী নেছার উদ্দিনের মামা মোহাম্মদ হিরন ও নেছারের মা শাহেনা আক্তার মুক্তা বলেন, নেছার অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলে, মাত্র নবম শ্রেণিতে পড়ে, তাকে তুলে নিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোশাররফ হোসেন বলেন, আমার মেয়ের সঙ্গে নেছারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। যার ফলে তারা দুজন বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। আমি গতরাতে ওদেরকে হাজির করে দুই পক্ষ মিলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করি। কিন্তু ছেলের মামা দেনমোহর নিয়ে কথা কাটাকাটি করে চলে যায়। পরে তা দের বিয়ে হয়।