বর্তমানে রাজনৈতিক মহলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের (কুসিক) মেয়র পদে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। শনিবার (৯ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে) ব্যবহার করে বিরতিহীনভাবে ১০৫ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলবে। তবে সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও বিভিন্ন কেন্দ্রে ঘুরে দেখা গেছে ভোটার উপস্থিতি কম। যদিও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
কুমিল্লার আদর্শ সদর ও সদর দক্ষিণ উপজেলার ২৭টি ওয়ার্ড ও ১০৫টি কেন্দ্র নিয়ে এই সিটি কর্পোরেশন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের দুইবারের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাহসিন বাহার সূচনা, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম, কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার।
এদিকে ভোটের শুরুতেই অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন তিন মেয়র প্রার্থী। টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘৫, ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডে আমার ভোটার এবং এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।’
এই বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘একটি কেন্দ্রে অভিযোগ পেয়ে ব্যবস্থা নিয়েছি। মোড়ে মোড়ে জটলা ঠেকাতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
কুমিল্লা সিটিতে ভোটার রয়েছেন দুই লাখ ৪২ হাজার ৪৫৮ জন। ভোট কক্ষের সংখ্যা ৬৪০টি। প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ১০৫ জন, সহকারী প্রিজাইডিং ৬৪০ জন, পোলিং এজেন্ট এক হাজার ২৮০ জন। প্রতি তিন ওয়ার্ডে একজন করে ৯ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও আচরণবিধি প্রতিপালনে সব ওয়ার্ডে একজন করে ২৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করছেন।
১০৫ কেন্দ্রের নিরাপত্তায় ১২ প্লাটুনে ৪৫০ জন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। র্যাব ২৭টিমে ৯৩৯ জন, পুলিশের ২৭টি মোবাইল টিমে ১৩৩৯ জন ও নয়টি স্ট্রাইকিং ফোর্স মাঠে আছেন। প্রতিকেন্দ্রে সার্বক্ষণিক পাঁচজন পুলিশ সদস্য আছেন। এছাড়াও দুইটি থানার দুইটি টিম রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে কাজ করছেন।