গত ৭ জানুয়ারি শেষ হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এর পরই কুমিল্লা নগরীজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন উপনির্বাচন।
এর আগে কুমিল্লা সিটি মেয়র কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাতের মৃত্যুতে একরকম অভিভাবকহীন রয়েছে কুমিল্লা সিটি।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ শূন্য হওয়ার পর ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হয়। সে অনুযায়ী, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময় কুমিল্লা সিটি করপোরেশন উপনির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশনার। চলতি বছরের এপ্রিলের শেষদিক অথবা মে মাসের প্রথম দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠানটি হতে পারে।
আসন্ন উপনির্বাচনে কুমিল্লা সিটি মেয়র পদে আওয়ামী লীগ থেকে কে মনোনয়ন পাচ্ছেন, স্বতন্ত্র হিসেবে কারা মেয়র পদে লড়তে পারেন, সেসব নিয়ে উৎসুক্য জনতার মাঝে চলছে জল্পনা-কল্পনা। তবে আলোচনায় নগরবাসীর কাছে উঠে এসেছে বেশ কয়েকজন নেতা।
কুসিক মেয়র পদে আলোচনায় আছেন যারা-
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্ল্যাহ খোকন, ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম, স্থানীয় সংসদ সদস্য আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহারের কন্যা তাহসিন বাহার সূচনা, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম সেলিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুরুর রহমান, দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সাবেক সভাপতি কবির ইসলাম শিকদার, আনিসুর রহমান মিঠু।
এছাড়া আলোচনায় উঠে এসেছে সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু ও বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত আরেক নেতা নিজামুদ্দিন কাউসারসহ আরও বেশ কয়েকজন নেতা দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশার তালিকায় রয়েছেন বলে নগরবাসীর ধারণা।
এছাড়াও আলোচনায় আছে কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থীর আলোচনার তালিকা থেকে বাদ পড়েননি কুমিল্লা-৬ সদর আসনে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আফজাল খানের মেয়ে আঞ্জুম সুলতানা সীমা। যদিও কুমিল্লা সিটি উপনির্বাচনে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেননি খান পরিবারের কেউ।
তবে নগরবাসীর কাছে প্রাধান্য পাবে প্রার্থীর ব্যক্তিগত ক্লিন ইমেজ। তারা সব সময় মনে করেন, এমন ক্লিন ইমেজের নেতা মেয়র হয়ে আসুক, যার দরজা জনগণের জন্য সব সময় খোলা থাকবে।