নভেম্বর ২৪, ২০২৪

রবিবার ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজয় দিবসের র‌্যালি ও আলোচনা সভা

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজয় দিবসের র‌্যালি ও আলোচনা সভা
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজয় দিবসের র‌্যালি ও আলোচনা সভা। ছবি: কুবি প্রতিনিধি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যালি, পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ এবং সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার মাধ্যমে ৫২তম বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে।

আজ শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সূর্যোদয়ের পর জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসটির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পরে সকাল ১০টা ২০মিনিটে প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শহীদ মিনারের উদ্দেশ্যে এক  বিজয় র‌্যালি করা হয়।

র‌্যালি শেষে শহীদ মিনার ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যে  বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সকাল সাড়ে এগারোটায় বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপাচার্য  অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির উপস্থিত ছিলেন।

এসময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.মোহাম্মদ  হুমায়ূন কবির বলেন, ত্রিশ লক্ষ মানুষ হাসিমুখে বিদায়ের পরিবর্তে আজ বাংলাদেশ। বাংলার মানুষ বাঁশ লাঠি নিয়ে রাইফেলের সামনে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন। আজ আমরা তাদের আত্মত্যাগ ভুলে যাচ্ছে। আমরা দলে উপদলে বিভক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধুর আর্দশ ভুলে যাচ্ছি। সময় এসেছে আজ বিভেদ ভুলে ঐক্য হওয়ার।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজয় দিবসের র‌্যালি ও আলোচনা সভা

উপাচার্য ড. এ এফএম  আবদুল মঈন বলেন, আমি সচক্ষে মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষী। তারা মেরে লাশ নদীতে ফেলে দিত। পাক আর্মির থেকে বাংলাদেশের ক্ষতি করেছে রাজাকাররা।

আগামী নির্বাচনকে সামনে  রেখে সেই মানুষগুলো আবারও সোচ্চার হচ্ছে। বিদেশিরা কখনো বাংলাদেশের ভালো চায় নাই। তারা এখন বাংলাদেশের নির্বাচনের হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করতেছে।

এ সকল কর্মসূচিতে ভারপ্রাপ্ত  প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী (রানা), রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত)  মোঃ আমিরুল হক চৌধুরী,  বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষবৃন্দ, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য,  দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন স্থানে আলোকসজ্জা, আবাসিক হলসমূহে দুপুরে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন  হয় এবং সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হবে।