বাসে উঠাকে কেন্দ্র করে গণিত বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাহফুজুল হকের হাত কামড়ে দেওয়াসহ মারধর করার অভিযোগ উঠেছে কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থী তরিকুল ইসলাম সিফাতের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত তরিকুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। গতকাল রবিবার (২৫শে ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে পাঁচটায় কোটবাড়ি এলাকায় স্টাফ বাসে এ ঘটনা ঘটেছে। এদিকে মারধরের ঘটনায় বিচার চেয়ে প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মাহফুজুল হক।
জানা গেছে , কোটবাড়ির পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে স্টাফ বাসে উঠতে গেলে বাঁধা দেন তরিকুল ইসলাম। এসময় সে ( মাহফুজ) স্টুডেন্ট কি না সে পরিচয় জানতে চাইলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে নিজেরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। হাতাহাতির এক পর্যায়ে তরিকুল মাহফুজকে কিল, ঘুসি ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন।
এ বিষয়ে মাহফুজুল হক বলেন, আমি হাতে টি-শার্টের ভারি বাক্স নিয়ে বাসে উঠতে চাইলে বাঁধা দেন তিনি। স্টুডেন্টের পরিচয় দিলে তিনি আমাকে উঠতে দেন। ওনার (সিফাত) উদ্দেশ্যে বলি আপনি আমার হলের বড় ভাই, আমাকে চিনেন না? এইটা বলার পর উনি আমাকে বলেন তুই কে? তোরে আমার চিনতে হবে কেনো? এরপর আমি ওনাকে বলেছি “আপনি বাসে উঠতে বাধা দেওয়ার কে? স্টুডেন্ট আইডি কার্ড নিয়ে তো কেউ বাসে উঠে না।
এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। কিছুক্ষণ পর আমার একটা কল আসে, কল রিসিভ করার পর উনি বলে আমি নাকি কোন বড় ভাইরে কল দিছি। কোন বড় ভাই আছে আমার উনি দেখে নিবে। এক পর্যায়ে উনি এসে আমার হাতে কামড় দেন ও মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন।
কামড় দেওয়ার বিষয়টি মিথ্যা জানিয়ে তরিকুল ইসলাম সিফাত বলেন, ভারী বাক্স নিয়ে বাসে উঠতে চাইলে স্টুডেন্ট কিনা তার পরিচয় জানতে চাই। এক পর্যায়ে সে আমাকে বলে আপনার হলের ছোট ভাই আমাকে চিনেন না? আমি তো আপনাকে চিনি। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তার (মাহফুজ) মোবাইলে একটি কল আসলে বলতে শোনা যায় বাসের মধ্যে একটা ঝামেলা হয়েছে আপনারা কোথায়?
এ বিষয়ে জানতে গেলে দুইজনের মধ্যে তর্কাতর্কি হয় এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, মঙ্গলবার আমরা বসে এটি সমাধান করার চেষ্টা করবো।