নভেম্বর ২৪, ২০২৪

রবিবার ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

কুবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি তাহের, সম্পাদক মেহেদী হাসান

কুবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি তাহের, সম্পাদক মেহেদী হাসান
কুবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি তাহের, সম্পাদক মেহেদী হাসান। ছবি: কুবি প্রতিনিধি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষকদের প্যানেল নীল দল। এবার ১৫টি পদের সবকটিতেই জয় পেয়েছেন তারা।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজাউল করিম নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন। এতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান।

এবার সাধারণ সম্পাদক পদে মেহেদীর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ জিয়া উদ্দিন। ঘোষিত ফলাফলে ৮৯ ভোটে পরাজিত হন জিয়া উদ্দিন ।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন এবং একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক মো. তোফায়েল হোসেন মজুমদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাহমুদুল হাছান, কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচিত হয়েছেন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মুর্শেদ রায়হান, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন

লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জান্নাতুল ফেরদৌস, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান।

এছাড়াও কার্যকরী সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস্ বিভাগের অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র দেব, অর্থনীতি বিভাগ অধ্যাপক ড. মো. শামিমুল ইসলাম, পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আইনুল হক, রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শাহাদাৎ হোসেন, অর্থনীতি বিভাগ সহকারী অধ্যাপক স্বর্ণা মজুমদার ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান।

নবনির্বাচিত সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, আমাকে তৃতীয় বারের মতো শিক্ষক সমিতির সভাপতি নির্বাচিত করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষিককে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমার চেষ্টা থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়ন করা । বিশেষ করে

শিক্ষকদের পদোন্নতি এবং বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ নিয়ে যে সকল অনিয়ম করা হয়েছে সেগুলো দূর করার সর্বাত্মক চেষ্টা করবো।

উল্লেখ্য, এবার ২৬৬ জন ভোটারের মধ্যে ১৭৪ জন ভোট প্রদান করেছেন। এর মধ্যে তিনটি ভোট বাতিল হয়েছে।এর আগে সকাল সাড়ে নয়টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত শিক্ষক লাউঞ্জে নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।