কাল সোমবার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শিক্ষক সমিতির ১১তম কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে এবং ভোট গণনা শেষে প্রাথমিক ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম, নির্বাচন কমিশনার গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আবদুল্লাহ আল মাহবুব দীপু এবং আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবু বকর সিদ্দিক (মাসুম) স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এবারের নির্বাচনে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের নীল দল অংশ নিলেও অংশ নিচ্ছে না বিএনপিপন্থী সাদা দলের কোনো প্রার্থী। নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাস জুড়ে নীল দলের প্রার্থীদের চলছে প্রচার প্রচারণা। প্রার্থীরা আজ (রবিবার) ভোটারদের কাছে বিগত বছরগুলোর বিভিন্ন সাফল্যের কথা তুলে ধরেন এবং এ বছরের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন।
এবার ১৫টি পদের বিপরীতে লড়ছেন ১৬ জন প্রার্থী । সভাপতি পদে লড়ছেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের এবং সম্পাদক পদে ১টি পদের বিপরীতে লড়ছেন দু’জন প্রার্থী।
তারা হলেন মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান এবং লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. জিয়া উদ্দিন। সহ-সভাপতি পদে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন ও হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. তোফায়েল হোসেন মজুমদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে সিএসই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাহমুদুল হাছান, কোষাধ্যক্ষ পদে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মুর্শেদ রায়হান, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জান্নাতুল ফেরদৌস, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
কার্যকরী সদস্য পদে হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র দেব, অর্থনীতি বিভাগ অধ্যাপক ড. মোঃ শামিমুল ইসলাম, পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আইনুল হক, রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ শাহাদাৎ হোসেন, অর্থনীতি বিভাগ সহকারী অধ্যাপক স্বর্ণা মজুমদার ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর শিক্ষক সমিতি-২০২৩ কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও শিক্ষকদের দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে সেসময় নির্বাচন স্থগিত হয়।