ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৫

মঙ্গলবার ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

কাতার-ওমান ও সৌদি প্রবাসীদের জন্য যে সুখবর দিলেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল!

Advisor Asif Nazrul gave the good news for Qatar-Oman and Saudi expatriates!
ছবি: সংগৃহীত

শ্রমবাজারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার, শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার মধ্য দিয়ে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হয়েছে গ্লোবাল লেবার মার্কেট কনফারেন্স। সেখানে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিত্ব করতে দেশটিতে সফর করেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

এই সময় সৌদি, ওমান ও কাতার সরকারের মন্ত্রী ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করেছেন উপদেষ্টা। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে এই সফর ও বৈঠকের ফলাফল নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।

আসিফ নজরুল তার ফেসুবক পোস্টে লেখেন, সৌদি আরবে আমার এবারের সফর ছিল সরকারি, সেখানে কিছু ভালো খবর পেয়েছি। রিয়াদে আমার সঙ্গে সৌদি আরবের মানবসম্পদ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীদ্বয়ের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। কাতার ও ওমানের মন্ত্রীদের সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে।

তিনি লেখেন, সৌদি আরব সেখানে আকামাবিহীন বাংলাদেশিদের বিষয়ে চাকুরীদাতাদের দায়দায়িত্ব আরও কঠোরভাবে দেখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, চাকরীর চুক্তি আগেই বাংলাদেশে শ্রমিকদের কাছে পাঠানোর বিষয় বিবেচনা করবে বলেছে, পেশাজীবীদের সার্টিফিকেটের সত্যায়ন বাংলাদেশ থেকেই করবে বলেছে।

ওমান প্রসঙ্গে উপদেষ্টা লেখেন, ওমান সেখানকার সকল বাংলাদেশিদের থাকার বৈধতা দেওয়ার প্রতিশ্রতি দিয়েছে এবং দ্রুত বাংলাদেশ থেকে লোক নিবে বলেছে। কাতারও নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে ওই পোস্টে উল্লেখ করেন প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা।

আসিফ নজরুল আরও লেখেন, এখনো পর্যন্ত সব প্রতিশ্রুতিই। তবে সেগুলো আন্তরিক মনে হয়েছে। আমরা বিষয়গুলোর অগ্রগতি যেন হয় তা নিয়ে ফলো-আপ করব।

তিনি লেখেন, প্রবাসে কেউ কেউ আমার কাছে বিমান ভাড়া নিয়ে অভিযোগ করেছেন। এটা আমার মন্ত্রণালয়ের বিষয় না, তবু আমি বিমান কতৃপক্ষের সঙ্গে দু-একদিনের মধ্যে বসব।

ওই পোস্টে আসিফ নজরুল আরও লেখেন, সর্বশেষ, আপনাদের বহু মানুষের কাছে সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাস সম্পর্কে ভালো মূল্যায়ন পেয়েছি। তাদের কাজের নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও দেশপ্রেম দেখে আমারো ভালো লেগেছে। দুই দিনে চারজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী শুধু নয়, তারা আমার সঙ্গে সৌদি আরবের বড় বড় প্রায় ২০টি চাকুরীদাতা কোম্পানি ও প্রবাসে বাংলাদেশের রেমিটেন্স যোদ্ধাদের সঙ্গে দুটো মিটিংয়ের ব্যবস্থা করেছে। এগুলো নিয়ে পরে লিখবেন বলেও জানান উপদেষ্টা।