জুন ১৬, ২০২৫

সোমবার ১৬ জুন, ২০২৫

করোনা আতঙ্কে বাড়ছে মাস্কের দাম

প্রতীকি ছবি/সংগৃহীত

দেশে নতুন করে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই মাস্কের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। পাইকারি পর্যায়ে মাস্কের দাম বাড়িয়ে দ্বিগুণ করেছেন এক দল ব্যবসায়ী। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ ও খুচরা ব্যবসায়ীরা। রাজধানীতে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে এই চিত্র।

রাজধানীর বাবুবাজারের মাস্কের পাইকারি দোকানগুলোতে এখন উপচে পড়া ভিড়। করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় মাস্কের চাহিদা বাড়ায় খুচরা ব্যবসায়ীরা মাস্ক কিনতে এসে রীতিমতো হতবাক। এতদিন যে সার্জিক্যাল মাস্কের বক্স ৬০-৬৫ টাকায় পাওয়া যেত, তা এখন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। পাইকারি ব্যবসায়ীরা কোনো রকম দর কষাকষি ছাড়াই এই বর্ধিত মূল্যে মাস্ক বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ করেছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।

শাহজাহানপুর রেলওয়ের কাছে মাস্ক ব্যবসা করেন মিঠু। তিনি জানান, “আগে আমরা ৬০-৬৫ টাকা দিয়ে প্রতি বক্স মাস্ক কিনতাম, কিন্তু আজ একই মাস্ক ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম নিয়ে কোনো কথা বলার সুযোগই নেই।”

মালিবাগ মোড়ের মাস্ক ব্যবসায়ী শাহ আলি জানান, “আগে এক হাজার সার্জিক্যাল মাস্কের দাম ছিল ৯০০ টাকা, এখন সেটা ১৬০০ টাকায় ঠেকেছে। পাইকারি বাজারে দাম বাড়ার কারণে আমাদেরও খুচরা বাজারে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে। আগে যেখানে ১০ টাকায় পাঁচটি সার্জিক্যাল মাস্ক বিক্রি করতাম, এখন সেখানে তিনটি করে বিক্রি করতে হচ্ছে।”

সার্জিক্যাল মাস্কের পাশাপাশি এন-৯৫ মাস্কেরও দাম বেড়েছে। এতদিন ১০ টাকা দরে বিক্রি হলেও হঠাৎ করে প্রতি পিস মাস্কের দাম হয়েছে ১৫-২০ টাকা। কাপড়ের মাস্কের দামও বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। মতিঝিলের সুবাহ হোসেন জানান, “আগে কাপড়ের মাস্ক ২০-৩০ টাকায় কিনলেও এখন ৫০-৮০ টাকা গুণতে হচ্ছে। হঠাৎ করে মাস্কের দাম বাড়ায় ভয় লাগছে, পরিস্থিতি আবার ২০২০ সালের মতো হয় কিনা।”

মাস্কের এমন অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে ক্রেতাদের মধ্যে চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাদের আশঙ্কা, এখনই এর লাগাম টেনে ধরা না গেলে ভবিষ্যতে দাম আরও কয়েকগুণ বেড়ে যেতে পারে। মগবাজারের বাসিন্দা মোহতাসিম বলেন, “২০২০ সালে করোনাভাইরাসের সময় প্রতি পিস সার্জিক্যাল মাস্ক ১০-১৫ টাকায় কিনতে হয়েছে, আর ১০ টাকার এন-৯৫ মাস্কের দাম বেড়ে হয়েছিল ১৫০ টাকা। এবার মাস্কের সিন্ডিকেট ভাঙতে এখনই সরকারের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।”

এদিকে, সংক্রমণ বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে মহাখালীর কোভিড বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে এবং বর্তমানে ১৩ জন করোনা রোগী সেখানে ভর্তি আছেন। স্বাস্থ্য বিভাগ ইতোমধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে শনাক্তকরণ কিট সরবরাহ শুরু করেছে।

আরও পড়ুন