রাজধানী ঢাকার মহাখালী রেলগেট এলাকায় রেলপথ অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করেছেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা। এতে ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে, যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকালে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন এই পরিস্থিতি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, সকাল ১০টা থেকে রেললাইনের ওপর রিকশা চালকরা অবস্থান নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন। নিরাপত্তা ও যাত্রীদের স্বার্থে, ওই সময় থেকে ঢাকা থেকে কোনো ট্রেন ছাড়েনি বা আসেনি। এমনকি ঢাকা থেকে চলাচলকারী ট্রেনগুলো কাছাকাছি স্টেশনে অবস্থান করছে।
এ বিষয়ে ঢাকা রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জয়নাল আবেদিন জানান, রিকশাচালকরা মহাখালী রেলগেট এলাকায় রেলপথ অবরোধ করেছে বলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেন, “রেলওয়ে পুলিশ টিম ঘটনাস্থলে রয়েছে এবং তারা পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছে।”
এ বিষয়ে বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাসেল জানান, সকাল থেকেই মহাখালীতে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা রেলক্রসিং ও অন্যান্য রাস্তা অবরোধ করে অবস্থান নিয়েছে। তারা মহাখালী রেললাইনও নিজেদের দখলে নিয়েছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর এলাকার সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশার চলাচল তিন দিনের মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকার জেলা প্রশাসক, দুই সিটি করপোরেশনের প্রশাসক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারসহ বিবাদীদের রুলসহ এই নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মহাখালী ছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সড়ক অবরোধের খবর পাওয়া গেছে। তাদের এই আন্দোলনের ফলে রাজধানীজুড়ে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়েছে, যার ফলে সাধারণ যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।