
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় নিজ ঘরে ঢুকে ঝর্ণা বেগম (৪৫) নামে পাঁচ সন্তানের জননীকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী আব্দুল করিমকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার গভীর রাতে দেবিদ্বার উপজেলার সাইলচর গ্রামে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াস বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা জানালা দিয়ে আব্দুল করিমের ঘরে প্রবেশ করে। এরপর তারা ঘুমন্ত ঝর্ণা বেগমকে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে হত্যা করে। নিহত ঝর্ণা বেগমের তিন ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।
বুধবার সকালে দেবিদ্বার থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
ওসি শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াস জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে যে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ ছিল। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী আব্দুল করিমকে থানায় আনা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা, তা বিস্তারিত খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এর আগের দিন মঙ্গলবারই দেবিদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়নের গৌরসার গ্রামের জঙ্গল থেকে হনুফা বেগম নামে আরেক নারীর ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। পরপর দুটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দেবিদ্বারে জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।