প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইফতার খাওয়াটা বড় কথা না, মানুষকে দেওয়াটাই বড় কথা। এ জন্য আমাদের নেতাকর্মীসহ সবাইকে আহ্বান জানিয়েছি, ইফতার পার্টি না করে সাধারণ মানুষের মধ্যে ইফতার বণ্টন করতে।
আজ সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২৪’ বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রমজান মাসে দেশের মানুষের যেন কষ্ট না হয়, সেজন্য আমরা মানুষের মাঝে বিনাপয়সায় খাদ্য বিতরণ করছি। আমরা ইফতার পার্টি বাদ দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছি।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের মহামারি, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, স্যাংশন, কাউন্টার স্যাংশন বিশ্ব অর্থনীতির ওপর প্রভাব ফেলেছে। পরিবহন খরচ বেড়েছে, মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সমস্যা শুধু আমাদের না, এটা বিশ্বব্যাপী সমস্যা।
আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর অনেক কষ্ট করে দেশে ফিরে এসেছিলাম। আমার একটাই লক্ষ্য ছিল, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলা। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গৌরব হারাতে বসেছিল। আমরা সেই হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে পেরেছি।
এর আগে অনুষ্ঠানে জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১০ বিশিষ্টজনের হাতে দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় বেসামরিক সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৪’ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ বছর স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন:
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে কাজী আব্দুস সাত্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফ্লাইট সার্জেন্ট মো. ফজলুল হক (মরণোত্তর) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ আবু নঈম মো. নজিব উদ্দীন খাঁন (খুররম) (মরণোত্তর), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ড. মোবারক আহমদ খান, চিকিৎসাবিদ্যায় ডা. হরিশংকর দাশ, সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, ক্রীড়ায় ফিরোজা খাতুন, সমাজ বা জনসেবায় অরন্য চিরান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. মোল্লা ওবায়েদুল্লাহ বাকী ও এসএম আব্রাহাম লিংকন।
এদিকে পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রত্যেককে পাঁচ লাখ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৫০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়েছে।