ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪

বৃহস্পতিবার ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪

ইন্টারনেটের খরচ ও কলরেট কমানোসহ ৫ দাবি

Rising Cumilla - Tele Consumers Association of Bangladesh-TCAB
ছবি: সংগৃহীত

দেশের অন্তর্বর্তী কালীন সরকারের কাছে ইন্টারনেটের মূল্য ও কলরেট কমানোসহ ৫ দাবি জানিয়েছে টেলি কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টিক্যাব)।

আজ রোববার টিক্যাবের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ওবায়েদ উল্লাহ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি জানানো হয়। এছাড়া গ্রাহকদের ওপর অন্যায়ভাবে চাপিয়ে দেওয়া ৩০ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) কমিয়ে এনে গ্রাহকদের স্বস্তি দেওয়ারও আহ্বান জানায় সংগঠনটি।

টিক্যাবের আহ্বায়ক মুর্শিদুল হক বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বিগত মহাজোট সরকার গণমানুষের দাবি উপেক্ষা করে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে ভোক্তা পর্যায়ে আরো ৫ শতাংশ কর আরোপ করে ৩০ শতাংশ নির্ধারণ করে। এতে করে বর্তমানে ১০০ টাকার মুঠোফোন সেবা ব্যবহারে গ্রাহকদের ৩৯ টাকা কর দিতে হচ্ছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ। অথচ মোবাইল ইন্টারনেটের গতি ও সেবার দিক দিয়ে আমাদের অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বনিম্ন।

এ সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে টিক্যাবের পক্ষ থেকে বেশকিছু দাবি তুলে ধরা হয়।

দাবিগুলো হলো- বর্তমানে ১০০ টাকার মুঠোফোন সেবা ব্যবহারে গ্রাহকদের ৩৯ টাকা কর দিতে হচ্ছে, এ কর কমিয়ে ২০ টাকায় নামিয়ে এনে টকটাইম ও ইন্টারনেটের মূল্য কমিয়ে আনা হোক।

সেবার মান বাড়িয়ে ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ইন্টারনেটের স্পিড বৃদ্ধি করতে হবে এবং কলড্রপ বন্ধ করতে হবে।

মেয়াদ শেষে অব্যবহৃত টকটাইম ও ডেটা কেটে নেয়া যাবে না, পরবর্তী যেকোনো প্যাকেজের সঙ্গে অব্যবহৃত টকটাইম ও ডেটা ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।

অপারেটরগুলোকে শুধুমাত্র ৭ দিন, ৩০ দিন ও আনলিমিটেড মেয়াদের ৪০টি প্যাকেজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করে পূর্বের ন্যায় আবারো ৯৫টি প্যাকেজ চালু করতে হবে।

বাকস্বাধীনতার পরিপন্থী হওয়ায় যুদ্ধাবস্থা ছাড়া কোনো পরিস্থিতিতেই ইন্টারনেট ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ করা যাবে না। ই-কর্মাস সেক্টরে প্রতারণা বন্ধ করতে হবে।

তথ্য প্রযুক্তি খাতের ভোক্তাদের স্বার্থ সুরক্ষায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ সংশোধন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরকে আরও জনবান্ধব ও শক্তিশালী করা, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর বরাবর অনলাইনে অভিযোগ দায়ের ও ১৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।