মার্চ ১৮, ২০২৫

মঙ্গলবার ১৮ মার্চ, ২০২৫

আপেল-কমলাসহ যেসব ফলের আমদানিতে কমলো শুল্ক

প্রতীকি ছবি/সংগৃহীত

ফলের বাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কমলা, আপেল, নাশপাতি, আঙুর, জাম্বুরা, বাতাবি লেবু ও লেবু জাতীয় তাজা বা শুকনো ফল আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক কমিয়েছে। সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে।

সোমবার (১৭ মার্চ) এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ জারি করা হয়েছে। এই আদেশ আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

এর আগে গত ১৩ মার্চ এনবিআর কমলা, আপেল, নাশপাতি, আঙুর ও লেবু জাতীয় তাজা বা শুকনো ফল আমদানিতে উৎসে কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করেছিল। মাত্র চারদিনের মাথায় শুল্কও কমানো হলো।

এনবিআর সূত্র জানায়, বিলাসী পণ্য হিসেবে আমদানি করা ফলের ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়েছিল।

তবে রমজানে ফলের বাজার স্থিতিশীল রাখা এবং সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন তাজা ফল আমদানিতে বাড়তি শুল্ক-কর প্রত্যাহারের সুপারিশ করে।

প্রতিষ্ঠানটি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হিসেবে তাজা ফল আমদানিতে বাড়তি শুল্ক ও অগ্রিম কর (এটি) প্রত্যাহার এবং অগ্রিম আয়কর (এআইটি) কমানোর সুপারিশ করে।

ট্যারিফ কমিশনের চিঠিতে রমজানে খেজুরসহ অন্যান্য তাজা ফল যৌক্তিক মূল্যে ভোক্তাদের কাছে পৌঁছানোর জন্য সরাসরি আমদানিকারকের মাধ্যমে ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ট্রাক বা ভ্যানে করে যৌক্তিক মূল্যে বিক্রির ব্যবস্থা করার সুপারিশও ছিল।

এর আগে, ২০২২ সালের মে মাসে কোভিড-পরবর্তী অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও রিজার্ভের চাপ সামাল দিতে প্রায় ১৩৫টি পণ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক শূন্য ও তিন শতাংশ থেকে একবারে বাড়ানো হয়েছিল। সেই তালিকায় আমদানি করা ফলের একটি বড় অংশ ছিল।

বর্তমানে রাজধানীর অধিকাংশ বাজারে প্রতি কেজি মাল্টা ২৮০-৩১০ টাকা, কমলা ২৯০-৩০০ টাকা, চায়না (মোটা) কমলা ৩০০-৩২০ টাকা হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে আপেল বিক্রি হচ্ছে ৩১০-৩৫০ টাকা কেজি দরে, নাশপাতি ৩১০-৩৪০ টাকা এবং আঙুরও ৩০০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে।