
অটোরিকশার পরিবর্তে কুমিল্লা নগরীতে মিনিবাস চালু করার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়ছার।
বুধবার সকালে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ও কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত বর্ণাঢ্য পথসভা শেষে—আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক এ কথা জানান।
নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতকরণের উপর জোর দিয়ে জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়ছার বলেন, “সরকার বিভিন্ন আইন ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি নিচ্ছে, কিন্তু তবুও মৃত্যুর মিছিল থামছে না। সবাইকে নিজের অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল হতে হবে।”
তিনি মনে করেন, চালকদের মানসম্মত প্রশিক্ষণ, রাস্তার মানোন্নয়ন এবং ট্রাফিক আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমেই একটি নিরাপদ সড়ক গড়ে তোলা সম্ভব। তবে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “জনসচেতনতা ও সহযোগিতা ছাড়া কোনো উদ্যোগই সফল হবে না।”
“মানসম্মত হেলমেট নিরাপদ গতি, কমবে জীবন ও সম্পদের ক্ষতি” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএ-এর যৌথ উদ্যোগে দিবসটি উদযাপিত হয়। কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়।
র্যালি শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিআরটিএ-এর সহকারী পরিচালক ফারুক আলম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাইওয়ে পুলিশ সুপার শাহিনুর আলম খান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ আদনান ইবনে হাসান, মোটরযান পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম, পরিবহন মালিক সমিতি ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। এছাড়া চালক সংগঠনের প্রতিনিধি, রোভার স্কাউট ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও এই অনুষ্ঠানে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা সড়ক দুর্ঘটনার চিত্র তুলে ধরে বলেন, অসচেতনতা, অতিরিক্ত গতি, অবৈধ পার্কিং ও নিয়ম না মানার কারণেই প্রতিদিন অসংখ্য প্রাণ ঝরছে। বক্তারা শুধু আইন প্রয়োগের উপর নির্ভরশীল না হয়ে চালক, যাত্রী ও পথচারী—সবার মধ্যে ট্রাফিক সচেতনতা বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন।
নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতে তাঁরা নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর ওপর জোর দেন:
- নিয়মিত প্রশিক্ষণ
- হেলমেট ও সিটবেল্ট ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা
- ওভারটেকিং নিয়ন্ত্রণ
- যাত্রীবাহী যানবাহনের নিয়মিত ফিটনেস পরীক্ষা জোরদার করা।