
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর দেশের ৪৮টি জেলার শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের জন্য একটি বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। ‘দেশের ৪৮ জেলায় শিক্ষিত কর্মপ্রত্যাশী যুবদের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এই প্রশিক্ষণের জন্য কোনো ফি লাগবে না, উল্টো অংশগ্রহণকারীরা দৈনিক ভাতা পাবেন।
এই প্রশিক্ষণটি পরিচালনা করবে ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেড, ৭ দক্ষিণ কল্যাণপুর, মিরপুর রোড, ঢাকা ১২০৭।
গত ৭ সেপ্টেম্বের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক মো. আ. হামিদ খান সই করা এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই প্রশিক্ষণটি হবে ৩ মাস মেয়াদি (৬০০ ঘণ্টা)। আগামী ১ অক্টোবর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই কোর্স চলবে। কোর্সের ক্লাসগুলো সম্পূর্ণ অফলাইনে বা সরাসরি ক্লাসে উপস্থিত হয়ে করতে হবে। সপ্তাহে ৬ দিন, প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা করে ক্লাস হবে এবং মোট ৭৫টি ক্লাসে এই ৬০০ ঘণ্টা সম্পন্ন হবে।
কারা আবেদন করতে পারবেন?
- ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী যুবক ও যুব নারীরা আবেদন করতে পারবেন।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা: কমপক্ষে এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
নিচের ৪৮টি জেলার বাসিন্দারা আবেদনের সুযোগ পাবেন:
- ঢাকা বিভাগ: নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর।
- ময়মনসিংহ বিভাগ: ময়মনসিংহ, জামালপুর, নেত্রকোনা।
- চট্টগ্রাম বিভাগ: চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, নোয়াখালী, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া।
- রাজশাহী বিভাগ: চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, নাটোর, বগুড়া, জয়পুরহাট, পাবনা, সিরাজগঞ্জ।
- খুলনা বিভাগ: খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া।
- রংপুর বিভাগ: রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, নীলফামারী, দিনাজপুর, পঞ্চগড়।
- বরিশাল বিভাগ: বরিশাল, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, বরগুনা।
- সিলেট বিভাগ: হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার।
আবেদন ও সুযোগ-সুবিধা
আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদনের শেষ তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর, রাত ১১:৫৯ মিনিট। এই সময়ের পর আবেদনের লিংক স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে এবং কোনো আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।
এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য কোনো ফি লাগবে না। বরং প্রশিক্ষণার্থীরা প্রতিদিন ২০০ টাকা হারে যাতায়াত ভাতা পাবেন। এর পাশাপাশি, সকালের নাশতা, দুপুরের খাবার এবং বিকেলের নাশতারও ব্যবস্থা থাকবে। প্রশিক্ষণ শেষে পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সনদপত্র প্রদান করা হবে।