
সরকারি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল) সম্প্রতি ৩৩টি অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের দাম কমিয়ে দিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে সরকারের প্রায় ১১৬ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।
আজ বুধবার বিকেলে ইডিসিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আ. সামাদ মৃধা এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন।
তিনি জানান, অন্তর্র্বতী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যেসব ওষুধের দাম কমানো হয়েছে, তার মধ্যে ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, ওরাল স্যালাইন, এবং ইনজেকশনসহ বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ রয়েছে।
মৃধা বলেন, উৎপাদন বাড়াতে এবং প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক করতে বেশ কিছু বড় সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া, দুর্নীতি দমন এবং প্রায় ৭০০ অপ্রয়োজনীয় কর্মীকে ছাঁটাই করা। এসব পদক্ষেপের ফলে উৎপাদন প্রায় ৫৯ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এছাড়াও, কাঁচামাল ক্রয়ের দরপত্র উন্মুক্ত করার কারণে প্রতি মাসে প্রায় ১৮ কোটি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, ইডিসিএল-এর অধীনে দুটি নতুন প্ল্যান্ট স্থাপন করা হবে। এর মধ্যে একটি হবে ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী বায়োটেক প্ল্যান্ট, যেখানে ইনসুলিনসহ অন্যান্য বায়োলজিক্যাল পণ্য তৈরি করা হবে। নিজেদের কারখানায় উৎপাদন বাড়িয়ে সরকারি চাহিদার ৭০ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশে উন্নীত করারও লক্ষ্য রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, “বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে মানসম্মত ওষুধের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করাই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য। এর মাধ্যমে আমরা মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চাই। স্বাস্থ্য সুরক্ষিত হলে উৎপাদন সক্ষমতা বাড়বে, এটিই হচ্ছে আমাদের আসল লাভ।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের আসল লাভ হলো, একজন মানুষ যদি সুস্থ থাকে। একটি ওষুধ থেকে তিন টাকা লাভ করার চেয়ে একজন মানুষ সুস্থ হলে আমাদের সেটাই বড় লাভ। পাশাপাশি কর্মীদের ওভারটাইম কমিয়েছি।”