
২০২৬ সালের হজে অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের প্রযুক্তিগত পরিবর্তন আনছে সৌদি আরব সরকার। এই পরিবর্তনের অংশ হিসেবে তারা নতুন দুটি উদ্যোগ নিয়েছে।
প্রথমত, আগামী হজে সকল হাজির জন্য বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে বিশেষ ‘ই-ব্রেসলেট’ বা ইলেকট্রনিক ব্রেসলেট। এছাড়া, মসজিদুল হারামের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে এক হাজার নতুন নজরদারি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
সৌদি কর্তৃপক্ষের এই আধুনিক উদ্যোগের উদ্দেশ্য হলো হাজিদের হজের সফরকে নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করা। গালফ নিউজের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এই উদ্যোগের মাধ্যমে হাজিদের পরিচয় শনাক্তকরণ, ভিড় নিয়ন্ত্রণ এবং জরুরি চিকিৎসা সহজতর হবে।
ই-ব্রেসলেটের কার্যকারিতা:
হাজির পাসপোর্ট, ভিসা ও আবাসন সংক্রান্ত সকল তথ্য এতে সংরক্ষিত থাকবে। জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজনে হাজির শারীরিক অবস্থা ও পূর্ববর্তী মেডিকেল ইতিহাস সহজে পাওয়া যাবে। রিয়েল-টাইম জিপিএস ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে হাজিরা মক্কা-মদিনায় নিজেদের অবস্থান বুঝতে পারবেন। এতে নামাজের সময়সূচি এবং হজের বিভিন্ন রোকন পালনের বহুভাষী নির্দেশিকা থাকবে। ব্রেসলেটটি পানিনিরোধক বা ওয়াটার রেসিস্ট্যান্ট হওয়ায় ওজু বা ভিড়ের মধ্যে এটি নষ্ট হওয়ার কোনো ভয় নেই।
মসজিদুল হারামের নিরাপত্তা ব্যবস্থা:
এক হাজার নতুন অত্যাধুনিক সার্ভিলেন্স ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী বা স্পেশাল ফোর্স ২৪ ঘণ্টা এই ক্যামেরাগুলোর মাধ্যমে পুরো এলাকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে। মূলত, ২০১৫ সালের হজে মিনায় পদদলিত হয়ে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক প্রাণহানির ঘটনার পর থেকে হাজিদের নিরাপত্তায় প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে সৌদি সরকার।
এই নতুন উদ্যোগগুলো নিশ্চিত করবে যে, হাজিরা তাদের হজ অভিজ্ঞতা শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারবেন।








