মঙ্গলবার ৫ আগস্ট, ২০২৫

হার্টের রিংয়ের নতুন মূল্য নির্ধারণ করল সরকার, কোনটার দাম কতো কমলো?

ছবি কোলাজ/গ্রাফিক্স: রাইজিং কুমিল্লা

হৃদরোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত স্টেন্টের (রিং) দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১০ ধরনের রিংয়ের দাম কমানো হয়েছে, যা ৩ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৮৮ হাজার টাকা পর্যন্ত। একটি মডেলের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

রবিবার (৩ আগস্ট) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সেবা বিভাগের ওষুধ প্রশাসন-১ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়। সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে,

আদেশে বলা হয়েছে, বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ট্যাক্স, ভ্যাট, বিভিন্ন চার্জ ও কোম্পানির যুক্তিসঙ্গত মুনাফা বিবেচনা করে এই দাম কমানো হয়েছে। তবে একটি স্টেন্টের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

কোন রিংয়ের দাম কতো কমলো?

নতুন নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী, মেডট্রনিক, বোস্টন সায়েন্টিফিক এবং অ্যাবট—এই তিনটি কোম্পানির জনপ্রিয় স্টেন্টগুলোর দাম কমেছে।

  • মেডট্রনিক:
    • ‘রিজলিউট অনিক্স’ রিংয়ের দাম ১,৪০,৫০০ টাকা থেকে কমে ৯০,০০০ টাকা হয়েছে।
    • ‘অনিক্স ট্রুকর’ ৭২,৫০০ টাকা থেকে কমে ৫০,০০০ টাকা হয়েছে।
  • বোস্টন সায়েন্টিফিক:
    • ‘প্রোমাস এলিট’ ৭৯,০০০ টাকা থেকে কমে ৭২,০০০ টাকা হয়েছে।
    • ‘প্রোমাস প্রিমিয়ার’ ৭৩,০০০ টাকা থেকে কমে ৭০,০০০ টাকা হয়েছে।
    • সিনার্জি সিরিজের ‘সিনার্জি এক্সডি’ ১,৮৮,০০০ টাকা থেকে কমে ১,০০,০০০ টাকা হয়েছে। এটিই সবচেয়ে বেশি দাম কমা স্টেন্ট।
    • ‘সিনার্জি’ ও ‘সিনার্জি শিল্ড’ দুটির দাম যথাক্রমে ১,১৭,০০০ ও ১,২০,০০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৯০,০০০ টাকা করা হয়েছে।
  • অ্যাবট:
    • ‘জায়েন্স প্রাইম’ ৬৬,৬০০ টাকা থেকে কমে ৫০,০০০ টাকা হয়েছে।
    • ‘জায়েন্স আলপাইন’ এবং ‘জায়েন্স সিয়েরা’ দুটির দাম ১,৪০,৫০০ এবং ১,৪০,০০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৯০,০০০ টাকা করা হয়েছে।
    • তবে, ‘জায়েন্স এক্সপেডিশন’ স্টেন্টের দাম ৭১,৫০০ টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

হাসপাতালের জন্য কড়া নির্দেশনা

আদেশে হাসপাতালগুলোকে কঠোরভাবে এই নির্দেশ মেনে চলার অনুরোধ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, অনুমোদিত মূল্য তালিকা ব্যাপক প্রচার করতে হবে। পাশাপাশি, হাসপাতালগুলো স্টেন্টের ক্ষেত্রে সার্ভিস চার্জ হিসেবে ৫% এর বেশি অর্থ আদায় করতে পারবে না। অনুমোদিত সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের বেশি দামে কোনো কার্ডিওভাসকুলার বা নিউরো ইমপ্ল্যান্ট ডিভাইস কেনা যাবে না। এই নির্দেশনাগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না, তা নিয়মিত মনিটরিং করার কথাও বলা হয়েছে।

এর আগে গত বছর এপ্রিল মাসে ২৩ ধরনের রিংয়ের দাম নির্ধারণ করেছিল ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। তারও কিছুদিন আগে তিনটি রিংয়ের দাম কমানো হয়েছিল।

আরও পড়ুন