মে ৩, ২০২৪

শুক্রবার ৩ মে, ২০২৪

হার্টের রিংয়ের নতুন দাম বেঁধে দিল সরকার

Cardiac stents
প্রতীকি ছবি/সংগৃহীত

দেশে হৃদরোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ২৩ ধরনের হার্টের রিংয়ের (কার্ডিয়াক স্টেন্ট) নতুন মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। এতে ব্র্যান্ডভেদে ১৩ থেকে ২৫ শতাংশ বাড়ল রিংয়ের দাম।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর হৃদরোগের জরুরি স্টেন্টের দাম ২০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে স্বস্তির খবর দিয়েছিল ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এর তিন মাস যেতে না যেতেই আবার স্টেন্টের দাম বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করেছে ডিজিডিএ।

বিজপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ইউরোপীয় এবং অন্যান্য দেশের হার্টের রিংয়ের উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি বা প্রিন্সিপাল স্থানীয় প্রতিনিধি এবং ইন্টারভেনশন কার্ডিওলজিস্টদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন কম্পানির হার্টের রিংয়ের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

কোন রিংয়ের কত দাম নির্ধারণ:

ডিজিডিএর আদেশ অনুসারে, পোল্যান্ডের অ্যালেক্স প্লাসের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ হাজার টাকা। এর আগে ডিসেম্বরে এর দাম নির্ধারণ করা হয়ছিল ৫৩ হাজার টাকা।

জাপানের আলটিম্যাস্টার ৬০ হাজার টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৬ হাজার টাকা। ৫৫ হাজার টাকার ডিরেক্ট স্টেন্ট সিরোর নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৬ হাজার টাকা।

নেদারল্যান্ডসের অ্যাবলুমিনাস ডেস প্লাসের দাম ৬৩ হাজার টাকা করা হয়েছে। ভারতে তৈরি মেটাফর ব্র্যান্ডের দাম ৪০ হাজার টাকা, এভারমাইন ফিফটি ব্র্যান্ড ৫০ হাজার টাকা, বায়োমাইম মর্ফ ৫০ হাজার টাকা, বায়োমাইম ৪৫ হাজার টাকা করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাফিনিটি-এমএস মিনির দাম ৬০ হাজার টাকা, ডিরেক্ট-স্টেন্ট সিরো ৬৬ হাজার টাকা এবং ডিরেক্ট-স্টেন্ট ৩০ হাজার টাকা করা হয়েছে।

সিঙ্গাপুরের তৈরি বায়োমেট্রিক্স নিওফ্ল্যাক্সের দাম ৬০ হাজার টাকা, বায়োমেট্রিক্স আলফা ৬৬ হাজার টাকা এবং বায়োফ্রিডম ৬৮ হাজার করা হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার তৈরি জেনোস ডেস ব্র্যান্ডের দাম ৫৬ হাজার টাকা করা হয়েছে। স্পেনের ইভাসকুলার এনজিওলাইটের দাম ৬২ হাজার টাকা করা হয়েছে।

একটি অংশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানের তৈরি স্টেন্ট সরবরাহ করে। আরেকটি করে ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানের তৈরি স্টেন্ট।

বর্তমানে বাজারে থাকা যেসব হার্টের স্টেন্টের খুচরা মূল্য সর্বোচ্চ এক লাখ ৪০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, এগুলো যুক্তরাষ্ট্রের। বর্তমানে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রের স্টেন্টের চাহিদা রয়েছে।

এ বিষয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক সালাহউদ্দিন বলেন, হৃদরোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, হৃদরোগ চিকিৎসক ও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করে রিংয়ের দাম সমন্বয় হয়েছে।

সব হাসপাতালে রিংয়ের দামের তালিকা টানিয়ে দিতে বলা হয়েছে, যাতে রোগী ও স্বজনরা নতুন দাম সম্পর্কে জানতে পারেন।