জানুয়ারি ৬, ২০২৫

সোমবার ৬ জানুয়ারি, ২০২৫

হাঁসের মাংস খাওয়ার আগে যারা সাবধানতা অবলম্বন করবেন!

ছবি কোলাজ: রাইজিং কুমিল্লা

শীতের এই সময়টায় হাঁসের মাংসের চাহিদা বেড়ে যায়। সুস্বাদু এই মাংসটি যদিও আমাদের শরীরে প্রচুর পুষ্টি যোগায়, তবে কিছু মানুষের জন্য এটি ক্ষতিকর হতে পারে। কারণ, হাঁসের মাংসে অনেক পরিমাণে ফ্যাট এবং ক্যালোরি থাকে।

আসুন জেনে নিই কারা হাঁসের মাংস খাওয়ার সময় সাবধান থাকবেন:

হৃদরোগী:

হাঁসের মাংসে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে পারে। ফলে হৃদরোগ বা উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।

ডায়াবেটিস রোগী:

হাঁসের মাংসে থাকা উচ্চ মাত্রার ফ্যাট ইনসুলিনের কার্যকারিতাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের হাঁসের মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা উচিত।

উচ্চ কোলেস্টেরলের রোগী:

হাঁসের চর্বি রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

লিভারের সমস্যা থাকা ব্যক্তিরা:

লিভারের সমস্যা থাকলে ফ্যাটযুক্ত খাবার খাওয়া এড়ানো উচিত। কারণ, হাঁসের মাংস লিভারের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন এমন ব্যক্তিরা:

হাঁসের মাংস ক্যালোরি ও ফ্যাট সমৃদ্ধ। তাই ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন এমন ব্যক্তিদের জন্য এটি ক্ষতিকর হতে পারে।

কিছু সতর্কতা-

গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটির সমস্যা: অতিরিক্ত ফ্যাটি খাবার গ্যাস্ট্রিক বাড়াতে পারে। হাঁসের মাংস যদি সঠিকভাবে রান্না না করা হয়, তবে এটি হজমে সমস্যা করতে পারে।

  • চর্বি অপসারণ করুন: হাঁসের মাংস রান্নার আগে অতিরিক্ত চর্বি ফেলে দিয়ে রান্না করলে এটি তুলনামূলকভাবে স্বাস্থ্যকর হয়।
  • সঠিক রান্নার পদ্ধতি অনুসরণ করুন: তেলে ভাজা বা গভীর ভাজা হাঁসের মাংস খাওয়া এড়িয়ে চলুন। গ্রিল, বেক বা সেদ্ধ করে খাওয়া ভালো।
  • পরিমিত মাত্রায় খান: সপ্তাহে একবার বা নির্দিষ্ট পরিমাণে খেলে এটি ক্ষতির কারণ হবে না।

যদি কোনো ক্রনিক অসুখ থাকে, তবে হাঁসের মাংস খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।