সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪

রবিবার ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

স্বস্তি নেই বাজারে, ডিম-পেঁয়াজের সঙ্গে বেড়েছে চালের দামও

Egg-onion-rice
প্রতীকি ছবি/গ্রাফিক্স: রাইজিং কুমিল্লা

দিনদিন বেড়েই চলছে নিত্যপণ্যের দাম। যার প্রভাব পড়ছে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায়। নিত্যপণ্যের বাড়তি দামে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি ও খুচরা বাজারে ডিম-পেঁয়াজের সঙ্গে বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম। 

শুক্রবার কুমিল্লার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে জাত ও মানভেদে প্রতি কেজি দেশি বাসমতি ৮৫ থেকে ৯০ টাকা, মিনিকেট ৬২ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নাজিরশাইল ৬৫ থেকে ৭৮ টাকা, মাঝারি মানের বিআর ২৮ ও ২৯ চাল ৫৪ থেকে ৫৬ টাকা এবং মোটা স্বর্ণা ৫৪ টাকা এবং মোটা হাইব্রিড ৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ঈদুল আজহার আগে এসব চালের দাম কেজিতে মানভেদে এক থেকে দুই টাকা পর্যন্ত কম ছিল।

কুমিল্লার নিউমার্কেটে- রাজগঞ্জ বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, খুচরা পর্যায়ে ক্রেতাকে ডিমের ডজনে গুনতে হচ্ছে ১৫০ টাকা। পাইকারিতে ডিমের পিস প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১১ টাকা ৫০ পয়সা। এছাড়া পাড়া-মহল্লায় ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকা।

গত সপ্তাহে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮০-৯০ টাকায়। যা এক সপ্তাহ ব্যবধানে ৫-১০ টাকা বেড়েছে। খুচরা দোকানে বাছাই করা পেঁয়াজ এখন ১০০ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হচ্ছে। এগুলো আকারে একটু বড়। সাধারণ মানের পেঁয়াজ ৯৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানান, দেশি পেঁয়াজের মৌসুম যত শেষের দিকে যাচ্ছে, দাম তত বাড়ছে। আগামীতে এ দাম কোথায় গিয়ে ঠেকবে সেটা বলা যাচ্ছে না।

এদিকে আলুর দাম উঠেছে ৬০-৬৫ টাকা প্রতি কেজি যা গত সপ্তাহের চেয়ে ৫ টাকা বেশি। কমেনি কাঁচামরিচের দামও, বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে।

অন্যদিকে কোরবানির ঈদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ফের কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে গরুর মাংসের দাম। তবে মুরগি ও মাছের দাম তুলনামূলক কমে আসায় মাছ-মুরগিতেই স্বস্তি খুঁজছেন কম আয়ের মানুষরা।

কুমিল্লার নিউমার্কেটে গতকাল শুক্রবার প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা, সোনালি ৩৩০ টাকায়।

মুরগির মাংসের দামে সন্তুষ্ট ক্রেতারা। তাদের দাবি, ব্যবসায়ীরা চাইলেই সারা বছর এই দামে মুরগির মাংস বিক্রি করতে পারেন। কিন্তু যখনই চাহিদা বেড়ে যায় দামও অটোমেটিক বেড়ে যায়।