
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে চাল, ডাল, পেঁয়াজ, রসুন ও আদার মতো অপরিহার্য দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।
সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বর্তমানে মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা দরে, যেখানে চিকন চালের দাম ঠেকেছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। এই মূল্যবৃদ্ধি নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষদের জন্য বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেছে।
পেঁয়াজের দাম শতকের দিকে এগোচ্ছে। আজ রবিবার (১০ আগস্ট) কুমিল্লার বাদশা মিয়ার বাজার, রাজগঞ্জ, চকবাজার এবং টমসম ব্রিজ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পেঁয়াজ ১৫ থেকে ২৫ টাকা বেড়ে কেজিপ্রতি ৭৫ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজ বিক্রেতা মাসুদ রাইজিং কুমিল্লাকে বলেন, ‘পাইকারি বাজার থেকেই আমাদের কিনতে হচ্ছে বেশি দামে। খুচরায় খুব বেশি লাভ থাকছে না।’
পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘মৌসুমের শেষ ভাগে এসে সরবরাহ কমে গেছে। তার ওপর বৃষ্টিতে পরিবহন ও সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটায় বাজারে প্রভাব পড়েছে।’
অন্যদিকে, আদার দামও দ্বিগুণ হয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ৮০ থেকে ১০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে দেশি আদা ২০০ টাকা এবং আমদানিকৃত আদা ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে রসুন ও ডালের দামেও স্বস্তি নেই। প্রতি কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে দেশি রসুন ১১০ টাকা এবং আমদানিকৃত রসুন ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইসঙ্গে, মসুর ডালের দামও বেড়েছে। ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে প্রতি কেজি ডাল ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে ক্রেতাদের অভিযোগ ভিন্ন। তারা বলছেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে না, আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা সংকট দেখিয়ে ইচ্ছামতো দাম বাড়াচ্ছেন।