এবার বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। তার ইমামতিতে নামাজে অংশ নিয়েছেন শতাধিক মুসল্লি।
আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর আফতাবনগর ঈদগাহ মাঠে এই নামাজ আদায় করা হয়। নামাজ শেষে মুসল্লিদের নিয়ে খুতবা ও দোয়া করেন শায়খ আহমাদুল্লাহ।
এ সময় শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, 'বনায়ন ধ্বংসের কারণে প্রতিবছর তাপমাত্রা বাড়ছে। এখনই সচেতন না হলে সামনের দিনে আরও বিপদে পড়তে হবে। সবুজায়ন বাড়াতে সবাইকে গাছ লাগানোর আহ্বানও জানান তিনি।'
এর আগে তীব্র দাবদাহ থেকে রক্ষা পেতে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বৃষ্টির প্রত্যাশা করে ‘ইস্তিসকার’ নামাজ আদায় করেন স্থানীয়রা। নামাজ শেষে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ মোনাজাত।
এদিকে রাজধানীর ঢাকার মহাখালীস্থ মসজিদে গাউসুল আজমের খতীব মাওলা রুহুল আমীন খান প্রচণ্ড দাবদাহ ও পানি সঙ্কট থেকে পরিত্রাণ লাভের জন্য তাওবা-ইস্তেগফার, সর্বশক্তিমান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা ও ইস্তিসকা নামাজ আদায়ের জন্য দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।
খতীব বলেন, আল্লাহর গজবসম নেমে এসেছে দাবদাহ। প্রচণ্ডতম গরমে পুড়ছে সারাদেশ। কোথাও কোথাও দেখা দিয়েছে মরু-কারবালার মতো তীব্র পানি সঙ্কট। অনাবৃষ্টি ও শুষ্ক বৈরি আবহাওয়ায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। হিটস্ট্রোকে ইতোমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছে কমপক্ষে একডজন মানুষ। বিশুদ্ধ খাবার পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে বিভিন্ন স্থানে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে আশঙ্কাজনক হারে। রাজধানী ঢাকার ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাচ্ছে ৬ থেকে ৭ ফুট করে। বরেন্দ্র অঞ্চলে ১১০ ফুট থেকে ১২০ ফুট নিচে নেমে গেছে কোথাও কোথাও। ফসলের মাঠ ফেটে চৌচির। খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ পৌঁছেছে চরমে। পশু-পাখিরাও পড়েছে নিদারুণ কষ্টে। এর সাথে প্রতিবেশী ভারতের পানি আগ্রাসন তো আছেই। এহেন দুর্যোগ অব্যাহত থাকলে তার ভয়াবহ পরিণতি কোথায় গিয়ে পৌঁছবে তা একমাত্র আল্লাহই জানেন।
মনে রাখতে হবে, একমাত্র আল্লাহই এই মহাবিপদ থেকে পরিত্রাণ দিতে পারেন। তিনিই অনতিবিলম্বে ফিরিয়ে আনতে পারেন স্বাভাবিক অবস্থা। তাই আসুন সকলে তাঁর দ্বারস্থ হই। সব গুনাহের জন্য খালেছ তাওবা করি। তিনি রহমাতের ভাণ্ডার। কাতরভাবে প্রার্থনা করি তার রহমত কামনায়। অনাবৃষ্টি, প্রচণ্ড দাবদাহ থেকে পরিত্রাণ লাভের জন্য পবিত্র ইসলামে রয়েছে ইস্তিসকার নামাজের ব্যবস্থা। আসুন, দেশের সর্বত্র এ নামাজের ব্যবস্থা করে মহান রব্বুল আলামীনের দরবারে সকাতরে প্রার্থনা জানাই। ‘ইস্তিসকা’ অর্থ পানি প্রার্থনা করা। অনাবৃষ্টিতে মানুষ ও জীবজন্তুর কষ্ট হতে থাকলে আল্লাহর দরবারে পানি প্রার্থনা করে দু’আ করা সুন্নাত। হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে, প্রিয়নবী (স.) বৃষ্টির প্রার্থনার সময় বলতেন : ‘হে আল্লাহ! তুমি তোমার বান্দাকে এবং তোমার জীব-জানোয়ারকে পানি দান কর।
সম্পাদক : শাদমান আল আরবী | নির্বাহী সম্পাদক : তানভীর আল আরবী
ঠিকানা : ঝাউতলা, ১ম কান্দিরপাড়, কুমিল্লা-৩৫০০। ফোন : ০১৩১৬১৮৬৯৪০, ই-মেইল : [email protected], বিজ্ঞাপন: [email protected], নিউজরুম: [email protected] © ২০২৩ রাইজিং কুমিল্লা সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত। | Design & Developed by BDIGITIC