কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় রংপুরে নিহত শিক্ষার্থী আবু সাঈদের পরিবারসহ ৩৪ জনের পরিবারকে পারিবারিক সঞ্চয়পত্র ও নগদ অর্থ সহায়তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (২৮ জুলাই) সকালে গণভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
এ সময় স্বজন হারানো পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশ্য করে শেখ হাসিনা বলেন, আমি আপনাদের বেদনা বুঝি। আমাকে প্রতিনিয়ত বাবা-মা-ভাই হারানোর বেদনা নিয়ে চলতে হয়। আমি লাশটাও দেখতে পারিনি, দেশে ফিরতে পারিনি। ৬ বছর পর দেশে এসেছি। তারপর যখন এসেছি সারা দেশ ঘুরেছি। কারণ আমার বাবা বলত দুঃখি মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে হবে। আমি সেই কাজটাই করার চেষ্টা করছি।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ১৬ জুলাই সারাদেশে বিক্ষোভ, সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। বিটিভিসহ রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বিজিবি নামানো হয়।
এরপর গত ১৯ জুলাই (শুক্রবার) দিবাগত রাত ১২টা থেকে রোববার (২১ জুলাই) সকাল ১০টা পর্যন্ত সারাদেশে কারফিউ জারি করে সরকার। এরপর অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়। যদিও প্রতিদিন এর মধ্যে কয়েক ঘণ্টা করে শিথিল করা হয় কারফিউ। পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাওয়ায় ধীরে ধীরে কারফিউ শিথিলের সময় বাড়ানো হচ্ছে।