ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নে বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাকে প্রধান অতিথি করে আয়োজিত শনিবার (২৮ জুন) এর সমাবেশকে ঘিরে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। চুন্টা ইউনিয়ন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠন সমাবেশটিকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে তা প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছে।
স্থানীয় নেতাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিনের ত্যাগী ও পদধারী নেতাদের উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ সুবিধাভোগীদের উদ্যোগে এ কর্মীসভা আয়োজন করা হয়েছে। তারা জানান, এমন উদ্যোগে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার উপস্থিতি তার ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি ও দলের মর্যাদার জন্য অসম্মানজনক।
শুক্রবার (২৭ জুন) সকাল ১১টায় চুন্টা বাজারে আয়োজিত প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে চুন্টা ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা এসব অভিযোগ তুলে ধরেন এবং ২৮ জুন চুন্টা সেন বাড়ি ও বাজার এলাকায় দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি ও আলোচনা সভার ঘোষণা দেন।
নেতারা আরও জানান, “ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা আমাদের কেন্দ্রীয় নেত্রী, আমরা তাকে সম্মান করি। কিন্তু তিনি যদি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত ও জেলা/উপজেলা বিএনপিকে অবহিত করে আমাদের জানিয়ে আসতেন, তাহলে আমরা তাকে যথাযথ সম্মান ও ভালোবাসা দিয়ে বরণ করে নিতাম। কিন্তু দলের আসল নেতাদের অবমূল্যায়ন করে চুন্টার মাটিতে কোনো কর্মীসভা করতে দেওয়া হবে না।”
তারা আরও বলেন, যাঁরা এখন নিজেদের বিএনপি নেতা পরিচয় দিয়ে রুমিন ফারহানার আগমন আয়োজন করছেন, তারাই অতীতে আওয়ামী লীগের অনুগত থেকে বিএনপির প্রকৃত ত্যাগী নেতাদের নানা ক্ষতির শিকার করেছেন। রাজনৈতিক দুঃসময়ে দলের নির্দেশ পালনের সময় এসব সুবিধাভোগী নেতারা নানা বাধা সৃষ্টি করেছেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন চুন্টা ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি আকতার মিয়া এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম সেলিম। এসময় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সদস্য লিয়াকত আলী, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম, চুন্টা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ ইয়াসিন, জেলা কৃষকদলের সদস্য আকতার মিয়া, যুবদলের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আকাঈদ, দপ্তর সম্পাদক উজ্জ্বল মিয়া, ছাত্রদলের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ছালেক, জাসাস সভাপতি মোঃ খোকন মিয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী আবুল কালাম এবং সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
চুন্টায় ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার আগমন ঘিরে বিএনপির অভ্যন্তরীণ বিভক্তি যেন প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এ পরিস্থিতিতে স্থানীয় নেতাদের প্রতিহত কর্মসূচি এবং কেন্দ্রীয় নেত্রীর উপস্থিতি সব মিলিয়ে শনিবার চুন্টায় রাজনৈতিক উত্তাপ তুঙ্গে উঠার আশঙ্কা রয়েছে।
