সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪

রবিবার ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সরকার শিক্ষকদের অনাহারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে: রুহুল কবির রিজভী

Govt is pushing teachers to starve said Ruhul Kabir Rizvi
ছবি: সংগৃহীত

প্রত্যয় স্কিমের নামে সরকার শিক্ষকদের অনাহারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘শিক্ষকদের পেনশন বিরোধী প্রতিবাদকে বিএনপি সমর্থন জানায়। এই সরকার প্রত্যয় স্কিমের নামে শিক্ষকদের অনাহারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’

আজ বুধবার (৩ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন তিনি।

প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে চুক্তির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে রেল করিডোর চুক্তি করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বকে অবজ্ঞা করেছে সরকার। ভারতের সঙ্গে করা এসব চুক্তি বাংলাদেশকে চিরদিনের জন্য ক্রীতদাস বানাবে।’ এ সময় সরকার যাই করুক, বাংলাদেশের জনগণ দিল্লির দাসত্ব মেনে নেবে না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক বিরোধী নেতাকর্মীদের নতুন করে আবারও গুম করা হচ্ছে- অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘ব্যর্থ আওয়ামী সরকার পুনরায় গুমের মত নৃশংস পন্থা অবলম্বন করে আবারও জনমনে ভীতি তৈরি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। নতুন করে আবার গুম শুরু করেছে।’

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘গতকাল রাত আড়াইটার সময় রাজধানীর শিশু হাসপাতাল থেকে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মারজুক আহমেদ আল-আমিনকে সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। গত ৩০ জুন দুপুর ১২টার সময় সাতক্ষীরা জেলাধীন কালিগঞ্জ উপজেলা কৃষকদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. কামরুজ্জামানকে রতন পুরস্থ নিজ বাড়ি থেকে ডিবির এস আই কবির হোসেনের নেতৃত্বে একদল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত তারও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। আমি অবিলম্বে তাদের জনসম্মুখে হাজির করে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জোর আহ্বান জানাই।’

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে রিজভী বলেন, ‘বাংলাদেশের ডামি সরকারের প্রধানমন্ত্রী ভারতের সঙ্গে নানা চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছেন। বাংলাদেশের জনগণ এহেন দুই সরকারের সমঝোতার উদ্যোগ অসম এবং বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী বলে মনে করে। এতে বাংলাদেশের মানুষ তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। ট্রানজিট ও এশিয়ান হাইওয়ের নামে শেখ হাসিনা মূলত ভারতকে করিডোর দিচ্ছেন। এটি চিরদিনের জন্য বাংলাদেশের মানুষকে ভারতের ক্রীতদাস বানানোর গভীর অভিসন্ধি।’