রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি ) বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ডাকা এক দফার মোকাবেলা করতে চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস্ (এমআইএস) বিভাগের সেমিনার সহকারী আশিকুন্নাহার চৌধুরী টুকটুকি। কিন্তু সরকার পতনের পর থেকে ছুটি ছাড়াই কর্মস্থলে অনুপস্থিত তিনি।
অভিযোগ রয়েছে, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হওয়ার সুবাদে আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে প্রভাব খাটিয়ে বেরোবি ক্যাম্পাসে চাকরি নিতে সক্ষম হন আশিকুন্নাহার চৌধুর টুকটুকি।
চাকরিতে যোগদানের পরও তিনি আওয়ামীলীগ এর রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন এবং আওয়ামীলীগ সরকারের পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিত পোস্ট করতেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তুঙ্গে যখন শিক্ষার্থীরা সরকার পতনের একদফা ঘোষণা করে তখন তিনি এক দফা মোকাবেলা করতে চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন এবং অভিভাবকদের কাছে সন্তানদের রাস্তায় পাঠাতে নিষেধ করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সরকার পতনের পর থেকে ছুটি ছাড়াই কর্মস্থলে অনুপস্থিত ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস্ ( এমআইএস) বিভাগের সেমিনার সহকারী আশিকুন্নাহার চৌধুরী টুকটুকি। ক্যাম্পাস খুললেও তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত ।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্থাপন শাখা থেকে জানা যায়, তিনি প্রশাসনের কাছে ছুটির জন্য কোন আবেদন করেননি। সংস্থাপন শাখার উপ-রেজিস্ট্রার ড. মোঃ জিয়াউল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় চালু হওয়ার পর থেকে ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস্ বিভাগের সেমিনার সহকারীর কোন ছুটির আবেদন আমার কাছে আসেনি। তার অনুপস্থিতির বিষয়ে জানি না।
ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস্ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এস এম আশরাফুল আলম বলেন, ২৫ সেপ্টেম্বরের পর থেকে আমি এই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছি। আমি দায়িত্ব পাওয়ার পরে তিনি বিভাগ থেকে চার কর্ম দিবসের নৈমিত্তিক ছুটি নিয়েছেন। আমার দায়িত্ব পাওয়ার আগে তিনি ছুটি ছাড়াই অনুপস্থিত ছিলেন কিনা এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।
এ বিষয়ে আশিকুন্নাহার চৌধুরী টুকটুকি বলেন,আমি অফিসে যাচ্ছিলাম কিন্তু অসুস্থার কারণে ছুটিতে আছি। এর আগে ডিপার্টমেন্ট প্রধান ছিল না কার কাছে ছুটি নিবো? আমি ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি এই নয় যে কারো বারা ভাতে ধান দিছি৷
ফেসবুকে পোস্টের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোঠা আন্দোলনের বিপক্ষে কিন্তু আমি ছিলাম না। আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার কারণে এক দফা এক দাবির পক্ষে ছিলাম না। এক দফা এক দাবি রাজনৈতিক মোকাবেলা ছিল। শিক্ষার্থী মারা যাচ্ছে এটা আমি চাইনি। তাই আমি অভিভাবকদের উদেশ্য করে বলেছিলাম যে, তারা যেন শিক্ষার্থীদের ঘরে ফিরিয়ে নেয় ।এমন নয় যে আমার পোস্টে কেউ প্রভাবিত হয়েছে।
সম্পাদক : শাদমান আল আরবী | নির্বাহী সম্পাদক : তানভীর আল আরবী
ঠিকানা : ঝাউতলা, ১ম কান্দিরপাড়, কুমিল্লা-৩৫০০। ফোন : ০১৩১৬১৮৬৯৪০, ই-মেইল : [email protected], বিজ্ঞাপন: [email protected], নিউজরুম: [email protected] © ২০২৩ রাইজিং কুমিল্লা সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত। | Design & Developed by BDIGITIC