বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাতে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড পার্লামেন্টে লেবার পার্টির সিনেটর করিন মুলহোল্যান্ড তার কনিষ্ঠ পুত্র অলিকে কোলে নিয়েই নিজের প্রথম পার্লামেন্টারি ভাষণ দেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমনই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, ছোট্ট অলি মায়ের কোলে ছটফট করছে এবং তার সুর করে কথা বলার চেষ্টাও শোনা যাচ্ছে, যা উপস্থিত সকলের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। পার্লামেন্টের এক সদস্যকে তো শিশুটিকে শান্ত করার জন্য হাসিমুখে অঙ্গভঙ্গি করতেও দেখা গেছে।
নিজের ভাষণে করিন মুলহোল্যান্ড অস্ট্রেলিয়ার প্রতিটি মা-বাবার প্রতিদিনের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, "আমার সন্তান এখানে কোনো প্রতীক হিসেবে নয়, বরং এটি একটি শক্তিশালী স্মারক। আমি কেন এখানে আছি, তারই প্রতিফলন আমার সন্তান। আমি একজন স্ত্রী, একজন মা, কুইন্সল্যান্ডের প্রান্তিক শহরতলীর একজন নাগরিক।"
তিনি জোর দিয়ে বলেন, মা-বাবারা কেবল তত্ত্বগতভাবে নয়, বাস্তব জীবনেও এই সংসদীয় চেম্বারে থাকার অধিকার রাখে। তার মতে, শিশু লালন-পালনের সংগ্রাম, দায়িত্ববোধ এবং তার মাঝেই থাকা এক ধরনের ‘টান’ ও মাতৃত্বের বিশালত্বসহ সব অভিজ্ঞতা কর্মক্ষেত্রে কাজে লাগে।
মুলহোল্যান্ড তার বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেন যে, অনেক কর্মজীবী মা-বাবার মতোই তাকেও কাজ ও দায়িত্বের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে হয়েছে। তিনি বর্তমান সংসদ সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান, যারা বহু বছরের সংগ্রামের পর কর্মজীবী অভিভাবকদের জন্য পথ তৈরি করেছেন। তার ভাষ্যমতে, এখন সময় এসেছে সংসদের বাইরের কর্মজীবীদের জন্যও একই ধরনের আধুনিক ও নমনীয় কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার।
করিন মুলহোল্যান্ড প্রতিশ্রুতি দেন যে, তিনি কর্মজীবী পরিবারগুলোর জীবনকে কিছুটা হলেও সহজ করতে বদ্ধপরিকর। তিনি চান, "পরিবারগুলো যেন কখন, কোথায় এবং কীভাবে তারা কাজ করবে সে বিষয়ে বাস্তব ও কার্যকর পছন্দ এবং নমনীয়তা পায়।"
ভাষণের শেষভাগে ছোট্ট অলিকে করিন মুলহোল্যান্ডের কাছ থেকে সংসদের অন্য সদস্যদের কোলে তুলে নিতে হলেও, মা ও ছেলে দুজনেই নির্বিঘ্নে তাদের ভাষণটি শেষ করতে সক্ষম হন।
সম্পাদক : শাদমান আল আরবী | নির্বাহী সম্পাদক : তানভীর আল আরবী
ঠিকানা : ঝাউতলা, ১ম কান্দিরপাড়, কুমিল্লা-৩৫০০। ফোন : ০১৩১৬১৮৬৯৪০, ই-মেইল : [email protected], বিজ্ঞাপন: [email protected], নিউজরুম: [email protected] © ২০২৩ রাইজিং কুমিল্লা সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত। | Design & Developed by BDIGITIC