
মেঘনা উপজেলাকে কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি) সংসদীয় আসনের সঙ্গে যুক্ত করার প্রতিবাদে এবং পুরোনো সীমানা পুনর্বহালের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে মেঘনা উপজেলা বিএনপি। প্রস্তাবিত এই পরিবর্তনকে ‘অযৌক্তিক ও গণবিচ্ছিন্ন’ আখ্যা দিয়ে নেতারা এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তারা কুমিল্লা-২ (হোমনা-মেঘনা) আসনের সীমানা পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে।
শনিবার দুপুরে মেঘনা উপজেলার মানিকারচর বাজারে অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. আজহারুল হক শাহীন। এতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া।
অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া বলেন, নির্বাচন কমিশন ভোটার সংখ্যার ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা সম্পূর্ণ বাস্তবতাবিবর্জিত।
তিনি অভিযোগ করেন, মেঘনা এবং দাউদকান্দির মধ্যে কোনো সরাসরি সড়ক যোগাযোগ নেই, অথচ কৃত্রিমভাবে এই দুটিকে এক করা হয়েছে। এই পরিবর্তনের ফলে মেঘনার মানুষ রাজনৈতিকভাবে অবহেলিত হবে এবং উন্নয়ন বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ১৯৫৪ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত মেঘনা উপজেলা হোমনার অংশ হিসেবে কুমিল্লা-২ আসনের অন্তর্ভুক্ত ছিল। যদিও ১৯৯৮ সালে মেঘনা আলাদা উপজেলা হয়, তারপরও প্রশাসনিক ও ভৌগোলিক কারণে এই দুটি একসঙ্গে ছিল। কিন্তু ২০০৮ সালে প্রভাবশালী মহলের চাপে মেঘনাকে দাউদকান্দির সঙ্গে যুক্ত করা হয়। নেতারা এই পদক্ষেপকে ‘গণবিরোধী’ বলে উল্লেখ করেন।
বিএনপি নেতারা বলেন, ২০২৩ সালের গেজেট অনুযায়ী হোমনা-মেঘনা নিয়ে গঠিত কুমিল্লা-২ আসনই ছিল যুক্তিযুক্ত এবং দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনও এই সীমানায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাই হঠাৎ এই পরিবর্তন কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
যদি নির্বাচন কমিশন এই খসড়া গেজেট বাতিল করে পূর্বের মতো হোমনা-মেঘনা আসন বহাল না রাখে, তবে আগামীতে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে:
- ৭ আগস্ট: নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন।
- ১০ আগস্ট: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ।