সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাবে বিএনপি: তারেক রহমান

নোয়াখালীতে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
ছবি: সংগৃহীত

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে বিএনপি সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনবে বলে জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর ) তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধারাবাহিক মতবিনিময়ের অংশ হিসেবে খুলনা বিভাগের সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মালিকানা এদেশের মানুষের। আর স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন তাদের ন্যায্য গনতান্ত্রিক অধিকার। ১৯৯৬ সালে বিএনপি জনগণের ভোটাধিকার নির্বিঘ্ন করতে দলীয় সরকারের পরিবর্তে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে সংযুক্ত করেছিল। কিন্তু ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে, জনগণকে ভোটাধিকার বঞ্চিত করার লক্ষ্যে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার সেটা সংবিধান থেকে মুছে দিয়ে তিন তিনটি জাতীয় নির্বাচনে জনগণকে ভোটাধিকার বঞ্চিত রেখেছে। আমরা জনগণের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে আবারও সংযুক্ত করতে চাই।

তারেক রহমান বলেন, বিএনপি দেশের সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্য নিয়ে রাজনীতি করে। মানুষের নিরাপত্তা, বাক স্বাধীনতা, শান্তিতে ব্যবসা বানিজ্য করার অধিকার, তরুণ ও যুবকের কর্ম সংস্থান, নারীর মর্যাদা ও নিরাপত্তা, ধর্ম বর্ন গোত্র গোষ্ঠী সমতল পাহাড়ি নির্বিশেষে সকলের জন্য সমান রাষ্ট্রীয় অধিকার নিশ্চিত, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত, বিচার আইন ও নির্বাহী বিভাগের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য আনা, সকলের জন্য স্বাস্থ্য সুবিধা নিশ্চিত, কৃষি পণ্যের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি, সর্বোপরি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করাই বিএনপি রাজনীতির অগ্রাধিকার।

আবেগআপ্লুত হয়ে তিনি আরও বলেন, যে বাড়িতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাস করেছেন, যে বাড়ির প্রতিটি ইঞ্চিতে তার নিজের (তারেক রহমানের) ও তার ভাইয়ের শৈশব কৈশোরের স্মৃতি জড়িয়ে আছে, যে বাড়ী তার মায়ের (তারেক রহমানের মা’য়ের) সংসারের সূচনা আর বৈধব্যের বেদনার স্বাক্ষী সেই বাড়ী থেকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কতটা অসম্মান জনক ও অন্যায়ভাবে উচ্ছেদ করা হয়েছে সেটা দেশবাসী দেখেছেন। বিনা চিকিৎসায় তার (তারেক রহমানের) একমাত্র ভাইকে নিদারুণ অবহেলায় মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে, ঠিক তেমনিভাবে দলের তৃণমূলের লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীকে মামলা হামলায় জর্জরিত হয়ে পরিবার পরিজন বিসর্জন দিয়ে, ব্যবসা-চাকরি হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়েছে হয় কারাগারে নয়তো আত্মগোপনে আর অগণিত নেতাকর্মী অকাতরে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন দেশকে ভালোবেসে, গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে।

তারপরও তিনি তৃণমূলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, তারা যেমন অতীতের মতো প্রতিহিংসায় বিশ্বাস করেন না তেমনি তিনি এবং দলের প্রধান বেগম খালেদা জিয়াও জানেন যে, দেশের মানুষও গত সতেরো বছর বাংলাদেশ নামের এক বৃহত্তর কারাগারে বন্দী জীবন যাপন করেছেন। সুতরাং আজ হিংসা নয় বরং দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণের মাধ্যমে অতীতের সকল অন্যায়ের জবাব দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। বছরের পর বছর ধরে আন্দোলন, সংগ্রাম, ত্যাগ বঞ্চণা সহ্য করে বিএনপি আজ জনগনের যে আস্থা আর ভালোবাসা অর্জন করেছে দলের কিছু বিপথগামীর হঠকারিতায় মানুষের সেই আস্থা আর প্রত্যাশার জায়গা ক্ষতিগ্রস্থ হবে সেটা কোন ভাবেই সহ্য করা হবে না। তিনি যেই হোন না কেন।