ন্যাশভিলের ঘরের মাঠ জিওডিস পার্ক স্টেডিয়ামে প্রথমবারের মতো ইতিহাস গড়ল ইন্টার মায়ামি। দুই দলের ১১ জন খেলোয়াড়ের প্রত্যেকেই নিলেন টাইব্রেকারে শট। তবে শেষ পর্যন্ত জিতলো মেসির মায়ামি। লিগস কাপের ফাইনালে নাশভিলেকে ২২ শটের টাইব্রেকারে ১০-৯ ব্যবধানে হারায় তারা।
নির্ধারিত সময়ে ১-১ সমতা, এরপর টাইব্রেকারে প্রথম পাঁচটি শটে ৪-৪, পরবর্তী চার শটে ৪-৪ এবং সর্বশেষ একটি করে নেওয়া শ্যুট আউটে ১-০ ব্যবধানে জিতে ইতিহাস গড়েছে মায়ামি। মাঠে বসে ৩০ হাজার দর্শক পুরো ম্যাচে দেখেছেন টান টান উত্তেজনাপূর্ণ এক লড়াই।
লিগস কাপের পুরো আসর লিওনেল মেসিময়। আগের ৬ ম্যাচেই তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। করেছেন ৯টি গোলের পাশাপাশি এক অ্যাসিস্ট। ফাইনালের মঞ্চেও তিনিই মায়ামির হয়ে একমাত্র গোলটি করেছেন। তবে সেই লিড দ্বিতীয়ার্ধের পর আর তার দল ধরে রাখতে পারেনি। ৫৭ মিনিটে ন্যাশভিলে সমতায় ফেরার পর জালের দেখা পায়নি আর কোনো পক্ষই।
রপর ১-১ ব্যবধানে শেষ হয় খেলার ৯০ মিনিট। অতিরিক্ত সময়েও অবিচ্ছিন্ন করা যায়নি দুই দলকে। তাই আশ্রয় নিতে হয় টাইব্রেকারের। স্পটকিক থেকে মায়ামির হয়ে প্রথম শটেই বল জালে ফেলেন মেসি। প্রথম শটে গোল পায় নাশভিলেও, তবে দ্বিতীয় শটে মিস করে তারা। টানা চার শটে গোলের দেখা পাওয়া মায়ামি হোঁচট খায় পঞ্চম শটে গিয়ে। মিস করে বসেন ভিক্টর উল্লোয়া। এরপর খেলা গিয়ে ঠেকে ১১তম শটে। যেখানে নাশভিলে গোলরক্ষকের শট ঠেকিয়ে দেন ড্রেক ক্যালেন্ডার। যার ফলে নিজেদের ইতিহাসে প্রথম শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতে মায়ামি।