কারও পছন্দ ভুনা খিচুড়ি, কারও আবার পাতলা খিচুড়ি। এই পাতলা খিচুড়িকে আবার ল্যাটকা খিচুড়ি নামেও ডাকা হয়। সুস্বাদু এই খিচুড়ি ডিম ভাজা, বেগুন ভাজা, মাংস ভুনা কিংবা মাছ ভাজা দিয়ে খেতে বেশ লাগে। সঙ্গে যদি থাকে একটুখানি আচার, তাহলে তো কথাই নেই।
উপকরণ
পোলাওয়ের চাল- দেড় কাপ
ভাতের চাল- আধা কাপ
মসুর ডাল- আধা কাপ
মুগ ডাল- আধা কাপ
ঘি- ১ টেবিল চামচ
লবণ- স্বাদমতো
ধনিয়া গুঁড়ো – ১চা চামচ
আদা ও রসুন বাটা- দেড় টেবিল চামচ
কাঁচা মরিচ কুচি- ৬-৭টি
সরিষার তেল- ২ টেবিল চামচ
পেঁয়াজ কুচি- ২ টেবিল চামচ
তেজপাতা- ৩টি
সয়াবিন তেল- পরিমাণমতো
এলাচ- ৩টি
দারুচিনি- ২ টুকরা
মরিচ গুঁড়া- ১ চা চামচ
হলুদ গুঁড়া- ১ চা চামচ
টালা জিরার গুঁড়া- ১ চা চামচ
আস্ত জিরা- ১ চা চামচ
গরম মসলা গুঁড়া- আধা চা চামচ
গরম পানি
ভাজা সবজি অথবা মাংস-(চাইলে করে দিতে পারেন)
প্রণালি
১) মুগ ডাল মাঝারি আঁচে টেলে নিন। এবার তা মসুর ডাল ও চালগুলোর সঙ্গে মিশিয়ে ধুয়ে নিন। পানি ঝরিয়ে রাখুন।
২) এবার রান্নার পাত্র চুলায় দিয়ে তাতে সয়াবিন ও সরিষার তেল গরম করুন। তেল গরম হলে তাতে আস্ত জিরা, দারুচিনি, এলাচ ও তেজপাতা দিয়ে ভেজে নিন।পেঁয়াজ কুচি হালকা বাদামি করে ভেজে আদা ও রসুন বাটা দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে দিন। অল্প পানি দিয়ে মরিচ, ধনিয়া গুঁড়ো ও হলুদ গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন।
কষানো মসলায় পানি ঝরিয়ে রাখা চাল ও ডাল দিয়ে কয়েক মিনিট ভাজুন। গরম পানি দিন ৭ কাপ। বাকি পানি পরে দেবেন।লবণ দিয়ে ভালো করে নেড়েচেড়ে ঢেকে দিন। মাঝারি আঁচে মিনিট পাঁচেক রাখুন।
৩) কিছুক্ষণ পরপর নেড়ে দিন। এবার আরও সাড়ে ৩ কাপ গরম পানি দিন। পানি ফুটে উঠলে চাইলে সবজির অথবা মাংসর
দিয়ে নেড়ে নিন। চুলার আঁচ কমিয়ে ঢেকে দিন।১০-১২মিনিট পর কাঁচা মরিচ কুচি দিয়ে আরও ৫ মিনিট রান্না করুন। গরম মসলার গুঁড়া ও টালা জিরার গুঁড়া দিয়ে দিন।
৪) অন্য একটি প্যানে ঘি দিয়ে ২টি পেঁয়াজ কুচি বাদামি করে ভেজে খিচুড়ির মধ্যে দিয়ে নেড়েচেড়ে চুলা বন্ধ করে ঢেকে রাখুন আরো ৫ মিনিটের মতো। এবার নামিয়ে পরিবেশন করুন গরম গরম বেগুন ভাজির সঙ্গে।