নভেম্বর ২৩, ২০২৪

শনিবার ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে বেরোবির আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পাওয়া ড. মোরশেদের পদত্যাগ

RisingCumilla.Com - Chairman of Khatak Dalal Nirmul Committee in financial and administrative responsibility of Berobi
ছবি: প্রতিনিধি

নতুন উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পাওয়া পাওয়ার পর শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে এক দিনও টিকতে পারেননি রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি ও অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোরশেদ হোসেন।

আওয়ামী লীগের শাসনামলে ড. মোরশেদ হোসেন প্রত্যেক উপাচার্যের সাথে লিয়াজু করেন। এমন অভিযোগে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়ে আজ (২ সেপ্টেম্বর) পদত্যাগ করেন। পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড.শফিকুল রহমান।

এর আগে রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটির সভায় আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব দেয়া হয় ড.মোরশেদ হোসেনকে।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ ও সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার এক যৌথ নির্দেশনায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিয়মিত উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যক্রম চলমান রাখার স্বার্থে ডিনস কাউন্সিল বা ক্ষেত্রমতে বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের আলোচনাক্রমে একজন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপককে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব প্রদানের নির্দেশ দেয়।

এর প্রেক্ষিতেই রোববার বেরোবির ডিনস কমিটি অধ্যাপক ড. মো. মোরশেদ হোসেনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় জ্যেষ্ঠ অধ্যাপককে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু ড.মোরশেদ হোসেনের তুলনায় বিশ্ববিদ্যালয় জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক থাকলেও তিনি বিতর্কিত হওয়া সত্ত্বেও তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়। এ বিষয়ে ডিন কমিটির সদস্যদের নিয়ে শিক্ষক – শিক্ষার্থীদের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গ্রুপ ও পেজে উঠেছে সমালোচনা ঝড়।

ফারুক হোসেন নামের এক শিক্ষার্থী তার ফেসবুক পোস্টে বলেন,কিসের চলতি দ্বায়িত্ব, নিজেদের সুবিধা মত লোকে দ্বায়িত্ব দিলেই হবে নাকি?ওনার নামে মামলা আছে, চলমান ঘটনার।ভিসি প্রয়োজন ভিসি নিয়োগ দেন।

সোজা কথা : এসব নাটক দেখতে ভালো লাগে না, স্টুডেন্টদের আবার খেপাইয়েন না।ডিন’স কমিটি আলাদের বলি, ভিসি নাই, ভিসি নিয়োগের জোর দেন, এসব পায়তারা বাদ দেন।লজ্জা থাকলে ওই শিক্ষক এই দ্বায়িত্ব নিবে না।

‘বেরোবি শিক্ষক সমাচার’ নামের এক পেজে বলা হয়,আওয়ামী লীগের এমপি মোতাহার হোসেন (হাতিবান্ধা -পাটগ্রাম আসন) নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত ছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ। উনারা আবার এই আমলেই সুবিধা নেওয়ার জন্য ব্যস্ত। আল্লাহ যারে দেয় সব সরকারের আমলেই দেয়।

এ বিষয়ে কথা বলতে অধ্যাপক ড. মোরশেদ হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।