শুক্রবার ২৪ অক্টোবর, ২০২৫

শচীন দেববর্মণ স্মরণে কুমিল্লায় দুই দিনব্যাপী নানা আয়োজন

রাইজিং ডেস্ক

শচীন দেববর্মণ/ছবি: সংগৃহীত

কিংবদন্তী সংগীতশিল্পী, সুরকার ও সংগীত পরিচালক শচীন দেববর্মণের জন্মদিন ১ অক্টোবর এবং প্রয়াণ ৩১ অক্টোবর। এই কিংবদন্তীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং তাঁকে স্মরণ করে তাঁর জন্মভূমি কুমিল্লার জেলা প্রশাসন দুই দিনব্যাপী এক বিশেষ কর্মসূচির আয়োজন করেছে। এতে থাকছে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও স্মৃতিচারণমূলক পর্ব।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শচীন স্মরণ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ সময় কুমিল্লার বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, আগামী ৩০ ও ৩১ অক্টোবর এই দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা সাজানো হয়েছে। এই উপলক্ষে অনুষ্ঠানস্থলে শচীন দেববর্মণের বর্ণিল জীবন, কর্ম, বিরল আলোকচিত্র এবং তাঁর সংগীতের উত্তরাধিকারকে তুলে ধরা হবে। দেশের বরেণ্য সংগীতশিল্পী, গবেষক, সাহিত্যিক এবং সংস্কৃতিকর্মীরা এই দুই দিনের কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।

প্রতি বছরের মতো এবারও এই আয়োজনকে ঘিরে সংস্কৃতিপ্রেমী ও সংগীতানুরাগীদের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে।

আয়োজকদের ভাষ্যমতে, এই অনুষ্ঠান কেবল শচীন দেববর্মণকে স্মরণ করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং নতুন প্রজন্মকে তাঁর সংগীতদর্শন, চিন্তা এবং সংগীত জগতে তাঁর অসামান্য অবদানের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ।

কর্মসূচিতে যা থাকছে: দুই দিনের এই আয়োজনে থাকছে—

  • শচীন দেববর্মণের জীবন ও কর্ম নিয়ে বিশেষ আলোচনা সভা।
  • তাঁর সুরে গাওয়া জনপ্রিয় বাংলা ও হিন্দি গান পরিবেশনা।
  • তরুণ শিল্পীদের অংশগ্রহণে মুক্ত সংগীতানুষ্ঠান।
  • স্থানীয় সংগীত, হস্তশিল্প ও বইয়ের প্রদর্শনী।

উল্লেখ্য,রাজপরিবারে জন্মগ্রহণকারী কুমিল্লার কৃতি সন্তান শচীন দেববর্মণ ছিলেন এক অসাধারণ সংগীতপ্রতিভা। বাংলা ও হিন্দি উভয় ভাষার সংগীতে তিনি রেখে গেছেন অমর পদচিহ্ন। তাঁর সুর, কণ্ঠ এবং সৃষ্টিশীলতা আজও দুই বাংলার সংগীতপ্রেমীদের হৃদয়ে চির অম্লান। আয়োজকদের আশা, এই বিশেষ আয়োজন একদিকে কুমিল্লার মানুষকে শচীনের স্মৃতির আবহে ফিরিয়ে নেবে, অন্যদিকে নতুন প্রজন্মকে তাঁর সংগীতচর্চা ও এই বিপুল উত্তরাধিকার সংরক্ষণে অনুপ্রাণিত করবে।

শচীন দেববর্মণের কালজয়ী বাংলা গানগুলোর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো— ‘তাকডুম তাকডুম বাজাই’, ‘বাঁশি শুনে আর কাজ নাই’, ‘বর্ণে গন্ধে ছন্দে গীতিতে’, ‘বিরহ বড় ভালো লাগে’, ‘মন দিল না বধু’, ‘শোনো গো দখিনো হাওয়া’, ‘তুমি আর নেই সে তুমি’, ‘তুমি এসেছিলে পরশু’ এবং ‘রঙিলা রে’।

আরও পড়ুন