
লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন অফিসে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় নিচতলার গুদামে থাকা গুরুত্বপূর্ণ কিছু নথি পুড়ে যায়।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোরে এই ঘটনা ঘটে। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ভোর সাড়ে ৩টার দিকে জেলা নির্বাচন অফিসের নিচতলার জানালার কাচ ভেঙে ভেতরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এ সময় অফিসের দারোয়ান আগুন টের পেয়ে চিৎকার শুরু করলে দুর্বৃত্তরা দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে নির্বাচন অফিসের কর্মচারীরা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন।
খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ ও নির্বাচন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা এস এম মেহেদী হাসান ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবদুর রশিদ।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, মাস্ক পরিহিত এক যুবক নির্বাচন অফিসের গেটের পশ্চিম পাশের দেওয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুনের রশ্মি দেখা যায়। এর পরপরই ওই যুবক গেট টপকে বের হয়ে যায়।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফারুক হোসাইন বলেন, মাস্ক পরিহিত এক যুবক জানালার কাঁচ ভেঙে বা খুলে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। ভেতরে আমাদের দারোয়ান হামিম ঘুমে ছিল। সে টের পেয়ে কে কে বলতেই ওই যুবক পালিয়ে যায়। এরমধ্যেই ২০০৮ ও ২০০৯ সালের ভোটারদের দ্বিতীয় ফরম পুড়ে গেছে। এ ছাড়া একটি অকেজো ডেস্কটপ-সিপিইউসহ কিছু সরঞ্জামও পুড়েছে। আগুন নেভাতে বেশি সময় লাগেনি।
তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে আমি ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ কার্যালয়ে গিয়ে আগুনের ঘটনা দেখি। পরে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে। পুলিশের ঊর্ধতন কর্মকর্তাও ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি নিয়মিত নিরাপত্তা জোরদারের আশ্বাস দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুর রশিদ বলেন, আগুনে অফিসের কিছু নথিপত্র পুড়ে গেছে। তবে বিষয়টি টের পাওয়ার কারণে বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রেজাউল হক বলেন, ঘটনাটি তদন্ত চলছে। জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে।








