এপ্রিল ১৬, ২০২৫

বুধবার ১৬ এপ্রিল, ২০২৫

রাজনীতিতে আসার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিলো, নির্বাচন করলে আবার জিতব: সাকিব আল হাসান

Rising Cumilla - Shakib Al Hasan
ছবি: সংগৃহীত

শুধুু ছয় মাসের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারেই জীবনের মোড় ঘুরে গেছে ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিক হওয়া সাকিব আল হাসানের। গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় একাধিক বিতর্কিত ঘটনায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। আন্দোলনের সময় একটি ছবি ও দর্শকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা তাঁর জন্য পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলে।

এরপর রাজনৈতিক পরিবর্তনের ঢেউয়ের মধ্যেই সাকিবের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা এবং দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসে।

সম্প্রতি দেশের একটি ইংরেজি দৈনিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের রাজনৈতিক পথচলা নিয়ে মুখ খুলেছেন সাকিব।

তাঁর বিশ্বাস, রাজনীতিতে আসার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল না। বরং এখন যদি আবার নির্বাচন হয়, তবে তিনিই জয়ী হবেন বলে মত দেন তিনি।

রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নিয়ে সাকিব বলেন, “রাজনীতিতে আমার অংশগ্রহণ যদি ভুল হয়, তাহলে ভবিষ্যতে কোনো ডাক্তার, ব্যারিস্টার কিংবা ব্যবসায়ীর রাজনীতিতে আসাটাও ভুল বলে গণ্য হবে। কিন্তু রাজনীতি করা নাগরিকের অধিকার, এবং যে কেউ তা করতে পারে। মানুষ ভোট দেবে কি না, সেটা তাদের সিদ্ধান্ত। আমি যখন রাজনীতিতে যোগ দিই, তখন আমার মনে হয়েছে আমি সঠিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। এখনো আমি মনে করি আমার সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল, কারণ আমার উদ্দেশ্য ছিল মাগুরার মানুষের জন্য কাজ করা। আমি বিশ্বাস করি, মাগুরার মানুষ আমাকে চেয়েছিল এবং আমি তাদের জন্য কিছু করতে পারি, এই ভাবনাই আমাকে প্রেরণা দিয়েছে।”

নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আমি মনে করি, আমার নির্বাচনী এলাকায় একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যদি আবারও নির্বাচন হয়, আমি বিশ্বাস করি, জয়ী হব আমিই। আমি জনগণের সেবা করার সুযোগ চেয়েছিলাম, এবং মানুষ আমাকে সেই সুযোগ দিয়েছিল। যদিও আমি যেভাবে সেবা করতে চেয়েছিলাম, সেভাবে পারিনি—এটা আমি অকপটে স্বীকার করছি।”

রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার পেছনের কারণও ব্যাখ্যা করেছেন সাকিব।

তাঁর ভাষায়, “আমি সবসময় বিশ্বাস করি, যদি কেউ সমাজে বড় কোনো পরিবর্তন আনতে চায়, তবে তাকে সিস্টেমের ভেতরে আসতে হবে। সিস্টেমের অংশ না হয়ে আপনি সেটাকে কীভাবে বদলাবেন? যারা এখন দেশ চালাচ্ছে, তারা যদি একসময় সিস্টেমের বাইরে থাকত, তাহলে কি তারা আজকের পরিবর্তন আনতে পারত?”