ডিসেম্বর ৫, ২০২৪

বৃহস্পতিবার ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

রাগ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা? ইসলামের আলোকে রয়েছে সমাধান

Reading quran
প্রতীকি ছবি/সংগৃহীত

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে রাগ একটি স্বাভাবিক বিষয়। তবে অতিরিক্ত রাগ ক্ষতিকর। পারিবারিক সমস্যা থেকে শুরু করে সামাজিক সম্পর্কের অবনতির কারণ হতে পারে। রাগ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা শারীরিক সমস্যারও কারণ হতে পারে।

ইসলামে রাগ নিয়ন্ত্রণের জন্য সুস্পষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে। নবী মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, সেই প্রকৃত বীর।”

রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘‘সেই ব্যক্তি শক্তিশালী নয়, যে ব্যক্তি কুস্তি লড়ে অন্যকে ধরাশায়ী করে, বরং প্রকৃতপক্ষে সে ব্যক্তিই শক্তিশালী, যে রাগের সময় নিজেকে সংবরণ করতে পারে।’’ (বুখারি: ৬৮০৯)

রাগ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক কিছু আমল:

প্রচণ্ড রাগে আউজুবিল্লাহ পড়া: রাগের সময় “আউজু বিল্লাহি মিনাশ শাইত্বানির রাঝিম” পড়লে শয়তানের প্রভাব দূর হয় এবং রাগ কমে যায়। (মুসলিম: ৬৮১২)

রাগ উঠলে চুপ হয়ে যাওয়া: রাগের সময় চুপ থাকা রাগ দমন করতে সাহায্য করে। রসুল (সাঃ) তিনবার বলেছেন, “রাগান্বিত হলে চুপ থাকো।” (মুসনাদে আহমদ: ৪৭৮৬)

রাগ আসলে শুয়ে পড়া: রাগের তীব্রতা কমাতে শুয়ে পড়া একটি কার্যকর উপায়। (আবু দাউদ: ৪৭৮৪)

রাগ না কমলে অজু করা: অজু করলে রাগ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা হয়। (আবু দাউদ: ৪৭৮৬)

রাগ নিয়ন্ত্রণের ফজিলত মনে রাখা: রাগ নিয়ন্ত্রণ আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের মাধ্যম। রসুল (সাঃ) বলেছেন, “আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য বান্দার ক্রোধ সংবরণে যে মহান প্রতিদান রয়েছে, তা অন্য কিছুতে নেই।” (ইবনে মাজাহ: ৪১৮৯)

উল্লেখ্য, এই আমলগুলো ছাড়াও নিয়মিত নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত, জিকির, দোয়া করা রাগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

রাগ নিয়ন্ত্রণ শুধুমাত্র ধর্মীয় দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনেও এর সুফল পাওয়া যায়। রাগ নিয়ন্ত্রণে শিখে আমরা সুন্দর ও সুখী জীবনযাপন করতে পারি।